আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পীদের নিয়ে বিকাশের কর্মশালা

ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে নিরাপদ থাকা এবং প্রতারণার ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের প্রায় পাঁচ হাজার কারুশিল্পীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বিকাশ। পাশাপাশি নিরাপদে মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহার করে প্রতিদিনকার লেনদেনে কীভাবে আরও সক্ষমতা ও স্বাধীনতা আনা যায় সে বিষয়ে হাতে কলমে ধারণা দেওয়া হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। কারুশিল্পীদের অর্থের সুরক্ষায় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে দেশজুড়ে এমন ১৬৩টি সেশন আয়োজন করে বিকাশ। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পীরা মজুরি পেয়ে আসছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। ডিজিটাল মাধ্যমে মজুরি পাওয়া এই কারুশিল্পীরা যাতে কোনও রকম প্রতারণামূলক কার্যক্রমের সম্ভাব্য লক্ষ্যে পরিণত না হন, সেই বিষয়ে কারুশিল্পীদের সচেতন করা হয়। প্রলোভনে ফেলে, ভয় দেখিয়ে বা অন্য কোনও কৌশলে প্রতারক চক্র যাতে এমএফএস অ্যাকাউন্টের পিন বা ফোনে আসা ওটিপি জানতে না পারে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয় কর্মশালায়। একই সঙ্গে বিকাশের বিভিন্ন ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহার করে জীবনযাত্রাকে কীভাবে আরও সহজ করে তোলা যায় সে বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পীদের।

দেশের শীর্ষ লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের জন্য হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন তাদের ১৪টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৩০ হাজার কারুশিল্পীকে বিকাশের মাধ্যমে মজুরি বিতরণ করছে। এই কারুশিল্পীদের অধিকাংশই নারী, যারা প্রতি মাসে ঘরে বসেই নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে মজুরি পান।

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্ত্রী প্রয়াত আয়েশা আবেদের স্মৃতি সংরক্ষণে এবং গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন। বর্তমানে সারা দেশে এই ফাউন্ডেশনের ১৫টি প্রধান কেন্দ্র এবং ৮৭৫টি উপকেন্দ্র রয়েছে।