ইনিংস ঘোষণার আগে হাফসেঞ্চুরিতে প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমান রুম্মন।
শুরুতে ৯২ রানে দুই উইকেট পড়ে গেলে বাংলাদেশের ইনিংস গড়তে থাকেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনের হাফসেঞ্চুরিতেই দুইশত রান পার হয়। তাদের জুটিতে আসে ১১৯ রান।
এই জুটিতে মুমিনুল হক দায়িত্বের সঙ্গেই খেলছিলেন। তবে ৪৮তম ওভারে তাকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দী করান মাইকেল কোহেন। মুমিনুলের ৭৩ বলের ৬৮ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। মুমিনুলের বিদায়ের পর নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুযোগ না পাওয়া মাহমুদউল্লাহ। অথচ তাকে পরের বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান কোহেন। ক্রিস্টেনসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর থেকেই এলোমেলো হয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ২১১ রানে ৩ উইকেট থেকে স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২২০ রানে ৬ উইকেট! এরপর বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম (৬৩) ও লিটন দাস (০)। মুশফিকের ৮৫ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। এরপর মিরাজ ও সাব্বির জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান ২৭২ রানে। মিরাজ ১৮ রানে কট বিহাইন্ড হলেও ক্রিজে ছিলেন সাব্বির। তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে পার করেন ৩০০ রান। অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। তার ৮৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার। তাসকিন ক্রিজে ছিলেন ৮ রানে। স্বাগতিকদের পক্ষে একাই ৪টি নেন মাইকেল কোহেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। টাইগারদের প্রতিপক্ষ ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ। বেনোনির উইলোমুর পার্ক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। শুরুতে তামিম ইকবাল ৫ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর দলীয় ৮৪ রানে ইমরুল (৩৪) ও ৯২ রানে ফেরেন সৌম্য সরকার (৪৩)।