ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে শ্রীলঙ্কার চাই ১৯৯ রান

জিম্বাবুয়ের হয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছেন টেলর। ত্রিদেশীয় সিরিজে টিকে থাকতে হলে আজ জয় চাই শ্রীলঙ্কার।  জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রবিবার টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামলেও ক্রেমারদের দাঁড়াতেই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ১৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তাদের।

মিরপুরে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট বলে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার।  টসের পর তিনি বলেছেন পরে ব্যাট করে স্কোর করা কঠিন হবে।  তাই আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের। শ্রীলঙ্কাকে এই দলই ১২ রানে হারিয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচে। 

 উল্টো দিকে বাঁচা-মরার লড়াই বলে আজকে ভিন্ন কৌশল নিয়ে মাঠে নামে লঙ্কানরা।  বাঁহাতি স্পিনার লাকসান সান্দাকানকে ভিড়িয়েছে একাদশে।  এ নিয়ে আজকে দুজন ফ্রন্ট লাইন স্পিনার নিয়ে খেলছে শ্রীলঙ্কা।  তাতে বেশ সফল শ্রীলঙ্কা।  দলীয় ৭৩ রানে আগ্রাসী সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের একভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন সান্দাকান।  মারকুটে এই ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন ৯ রানে।

যদিও এর আগে ১০ ওভারে ৪৪ রান তুলেছিলেন দুই ওপেনার হ্যামিলটন মাসাকাদজা ও সলোমন মিরে।  এই জুটির প্রতিরোধ বেশিক্ষণ টিকতে দেননি থিসারা পেরেরা।  মাসাকাদজাকে তালুবন্দি করান ব্যক্তিগত ২০ রানে।  এই পেরেরার বোলিংয়েই টপ অর্ডারে ধস নামে জিম্বাবুয়ের।  ফিরে যান ক্রেগ আরভিন (২), সলোমন মিরে (২১)। 

কিছুক্ষণ প্রতিরোধ দিয়ে খেলেন ব্রেন্ডন টেলর ও ম্যালকম ওয়ালার। তাদের জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৬৬ রান।  দলীয় ১৩৯ রানে ওয়ালারকে সান্দাকান সাজঘরে ফেরালে জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে যায় আবার।  ব্যক্তিগত ২৪ রানে তাকে গ্লাভসবন্দি করান লঙ্কান স্পিনার।  দলীয় ১৭১ রানে টেলর ৫৮ রানে ফিরলে আরও বিপদে বাড়ে জিম্বাবুয়ের। মাঝখানে অধিনায়ক ক্রেমার ৩৪ রান খেলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় ছিলেন।  কিন্তু ৩৪ রানে নুয়ান প্রদীপ তাকে বোল্ড করলে বেশিক্ষণ টেকেনি জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধ। তারা অলআউট হয় ৪৪ ওভারে।

জিম্বাবুয়ের লেজ ছেঁটে দিয়েছেন মূলত প্রদীপ। ৮ ওভারে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর টপ অর্ডারে ধস নামানো  থিসারা পেরেরা ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। দুটি নিয়েছেন সান্দাকান।