টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের হার

টি-টোয়েন্টিতেও নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তাননিউজিল্যান্ডের কাছে টি-টোয়েন্টিতেও অসহায় আত্মসমর্পণ করলো পাকিস্তান।  প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।  ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চড়াও ছিলেন কলিন মুনরো।  তার দ্রুতগতির অপরাজিত ৪৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানের অবস্থা শুরু থেকে ছিল শোচনীয়।  ৫৩ রানে ৭ উইকেট চলে গেলে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে যাবে পাকিস্তান।  পাকিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোরটি ছিল ৭৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১২ সালে এমন রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। 

যদিও বাবর আজমের দৃঢ়তায় ও হাসান আলীর দায়িত্বশীল ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। বাবর শেষ দিকে আউট হন ৪১ রানে। তার ৪১ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছয়।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন সেথ র‌্যান্স ও টিম সাউদি। দুটি নেন মিচেল স্যান্টনার, একটি করে নেন কলিন মুনরো ও আনারু কিচেন।

জবাবে নিউজিল্যান্ড শুরুতে হোঁচট খেয়েছিল।  দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৩ রানে রুম্মন রইসের বলে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন মার্টিন গাপটিল।  ৮ রানে রইসের জোড়া আঘাতে ফেরেন গ্লেন ফিলিপস।  এমন অবস্থায় অপর প্রান্ত আগলে ছিলেন কলিন মুনরো। তুলনামূলক ধীর গতিতে খেলে টম ব্রুসকে সঙ্গী বানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন কিছুক্ষণ।  দলীয় ৫৭ রানে ব্রুস ব্যক্তিগত ২৬ রানে ফিরলে রস টেলরকে সঙ্গে নিয়ে ১৫.৫ ওভারে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন মুনরো।

মুনরোর ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও দুটি ছয়।  অপরদিকে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন টেলর।  পাকিস্তানের পক্ষে দুটি উইকেট নেন রুম্মন রইস।  ম্যাচসেরা হন ব্যাট-বলে নৈুপণ্য দেখানো মুনরো।