কর অব্যাহতি সুবিধা অর্থাৎ কর প্রদান না করার সুবিধা থাকলে লাভ হয় আইসিসির। ভারতে এই সুবিধা না থাকায় ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সেভাবে লাভ করতে পারেনি সংস্থাটি। আইসিসির কাছ থেকে ওই বিশ্বকাপের মিডিয়া স্বত্ব পাওয়া স্টার ইন্ডিয়াকে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়েছিল ভারত সরকারকে। কর অব্যাহতি সুবিধা না থাকায় কেটে নেওয়া অংশটুকু আবার আইসিসির কাছ থেকে রেখে দেয় স্টার ইন্ডিয়া। এতে আইসিসির লোকসান হয় দুই কোটি থেকে তিন কোটি ডলার! সেজন্য স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এ বিষয়ে নিরুপায়, তবে ভারতীয় সরকার এই কর অব্যাহতি সুবিধার বিরুদ্ধে।
এই অবস্থায় আইসিসি চাইছে ওই সময়ে একই অঞ্চলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের। ২০২৩ বিশ্বকাপের এখনও অনেক দেরি। আপাতত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভেন্যু নিয়ে চিন্তিত আইসিসি। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে ২০১৯ সালের শেষ দিকে। আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আইসিসির ম্যানেজমেন্টকে জানানো হয়েছে যে এই অঞ্চলে যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিকল্প ভেন্যু খোঁজা হয়। তবে এই সময়ে ভারত সরকারের সঙ্গে বিতর্কিত ইস্যু নিয়েও আলোচনা করবে আইসিসি।’
এর আগেও ভারতে কর অব্যাহতি সুবিধা পেয়েছিল আইসিসি। ২০০৬ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই সুবিধা দিয়েছিল ভারত সরকার। একইভাবে ২০১১ বিশ্বকাপেও দেওয়া হয়েছিল একই সুবিধা। তখন আইসিসির হয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়া ও এহসান মানি। এবারও তেমন একটি পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছে আইসিসি!