এর আগে দুই দলের খেলোয়াড়রা ম্যাচের মধ্য বিরতিতে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
মঙ্গলবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিতে চট্টগ্রাম ছেলেখেলাই করেছে খুলনা বিভাগকে নিয়ে। এক পেশে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছে ৬-০ গোলের ব্যবধানে। অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়তো। খুলনার গোলকিপার একক নৈপুণ্যে বেশ কিছু আক্রমণ প্রতিহত করে দিয়েছেন। নয়তো আগের ম্যাচের মতো আরও বড় ব্যবধানে হার দেখতে হতো খুলনাকে।
ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে চট্টগ্রাম। চম্পা মারমার হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোলে দিশেহারা হয়ে পড়ে খুলনা। ম্যাচের শুরুতে ১৩ মিনিটের মাথায় সশু মারমা চট্টগ্রামকে এগিয়ে নেন। ম্যাচের প্রথমার্ধে চম্পা দুটি এবং দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি গোল করেন। অবশ্য প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পায় খুলনা। দলটির ফরওয়ার্ড রিয়া খাতুন ব্যবধান কমানোর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন। এর বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে আরও কিছু আক্রমণ করে খুলনা। কিন্তু ডি বক্সের ভেতরে ঢুকেই খেই হারিয়েছে রূপসা পারের মেয়েরা।
এই জয়ের পরেও ফাইনালে যেতে না পারায় আক্ষেপ ঝরেছে চট্টগ্রাম দলের কোচের কণ্ঠে। তীব্র গরমে নিজেদের অস্বস্তির কথা উল্লেখ করে কোচ শান্তি চাকমা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের দলটা বেশ ভালো ছিল। ফাইনাল খেলার মতো দল ছিলাম আমরা। কিন্তু মেয়েরা এই গরমের মধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছে। যার কারণে পুরো সময় নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলতে পারেনি। সত্যি কথা বলতে এই গরমে খেলা খুব কঠিন।’