হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে জাতীয় দলের কোচ মাহবুব হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘নতুন করে কী আর বলার আছে। আমরা সুযোগ পেয়ে হারিয়েছি। গোল করতে পারিনি। একের পর এক পেনাল্টি কর্নার এসেছে। সেখান থেকেও তো গোল করতে হবে। কিন্তু জিমি-চয়নরা যেন গোল করতে ভুলেই গেলো। ওমান সুযোগ পেয়ে দুটি গোল বের করে নিয়েছে।’
বাস্তবতা অবশ্য ভিন্ন কথা বলছে। ওমান এই আসরকে সামনে রেখে আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিয়েছে। হংকংয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। বাছাইপর্ব শুরুর আগে পাকিস্তান ও জাপানকে নিয়ে তিনজাতি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে নিজেদের টার্ফে। সেখানে শক্তিশালী পাকিস্তানের সঙ্গে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ড্র করেছিল। তাদের কোচ কিংবদন্তি খেলোয়াড় তাহির জামান।
আর বাংলাদেশে তো লিগই হয় না নিয়মিত। এশিয়া কাপের পর কিছুদিনের প্রস্তুতি হয়েছে, তবে কোনও প্রস্তুতি ম্যাচই খেলা হয়নি। তার ওপর ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব তো লেগেই আছে। তাই ওমান থেকে শিক্ষা নিয়ে হকি ফেডারেশন জেগে উঠতে চাইছে। মার্চের শেষে দলবদল। তার আগে আসবেন মালয়েশিয়ার কোচ গোপীনাথন কৃষ্ণমূর্তি। লিগ শেষে তার হাতেই এশিয়াডের দল তুলে দেওয়া হবে।
ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক জানিয়েছেন, ‘এশিয়াডের আগে আমরা আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেবো। এজন্য দ্রুতই প্রিমিয়ার লিগ শুরু করতে চাই। মালয়েশিয়ান কোচ গোপীনাথন কৃষ্ণমূর্তিকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া হবে। মালয়েশিয়ায় আবাসিক ক্যাম্প ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর একটা চেষ্টা থাকবে। যেন ইন্দোনেশিয়ার এশিয়াডে ইতিবাচক ফল হয়।’