ভালো কাজের ফসল এই ছয়: দিনেশ কার্তিক

ফাইনালে দিনেশ কার্তিক শট খেলার মুহূর্তেনিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে ভারতকে শিরোপা জেতানোর মূল তারকা ছিলেন দিনেশ কার্তিক। ৮ বলে ২৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন শেষ বলে। বলতে গেলে প্রায় দশক স্থায়ী অনিয়মিত ক্যারিয়ারে প্রাণ ফিরিয়েছে তার এই ইনিংস। গত বছর থেকে নিয়মিত হওয়া ৩২ বছর বয়সী অলরাউন্ডার সব কিছুর জন্যে কৃতিত্ব দিচ্ছেন নিজের ভালো সব কাজকেই।

দেশে ফিরে চেন্নাইয়ে নিখুঁত এমন ফিনিশিং নিয়ে এই তারকা বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে ভালো কাজের ফসল। জীবনে ও ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আমি যেসব ভালো কাজ করেছি, আমার মনে হয় সেগুলোই এই ছয় মারতে ভূমিকা রেখেছে।’

এক বলে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। ছয় না হয়ে চার হলে খেলা গড়াতো সুপার ওভারে। তাহলে দৃশ্যপটে ভিন্ন কিছুই উঠে আসতো বলে মনে করেন কার্তিক, ‘যদি এটা চার হতো তাহলে খেলা গড়াতো সুপার ওভারে। তখন ভিন্ন কিছুই হতে পারতো।’

দিনেশ কার্তিক যখন ৭ নম্বরে খেলতে নামেন তখন ২ ওভারে প্রয়োজন ৩৪ রান। আর নেমেই রুবেলের ওভারে প্রথম তিনটি ডেলিভারিতে দুই ছয় ও একটি চার মারেন। চার মেরেই ওভারটি শেষ করেন কার্তিক। এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ের জন্যে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার ও তার বন্ধু ও মেন্টর অভিষেক নায়ারকে কৃতিত্ব দিয়েছেন কার্তিক, ‘সঞ্জয় বাঙ্গারের কথা অবশ্যই বলতে হবে। আর নায়ারের সঙ্গে কাজ করে শিখেছি ক্রিজে থেকে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হয়।’

কার্তিকের এমন ফিনিশিংয়ে অনেকেই তাকে তুলনা করছেন ঠাণ্ডা মাথার মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে। কার্তিককে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই কৌশলে জবাব দেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘ধোনির কথা যখন ওঠে তখন বলতেই হয় আমি যেই বিদ্যালয়ে পাঠ নিচ্ছি সেখানে ধোনি সেরা ছাত্র। তাই তার সঙ্গে আমার তুলনা মোটেই কাম্য নয়। আমি মাত্রই আমার সফর শুরু করেছি। দেখি এবার সেটা কীভাবে যায়। যেখানে আমি আছি তাতে সন্তুষ্ট। -ক্রিকইনফো।