সামনের মাসেও মাঠে ফিরতে পারি: সাকিব

বিমান বন্দরে কথা বলছেন সাকিব।দেশে ফিরলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রবিবার সকালে  সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে মেলবোর্ন-সিঙ্গাপুর হয়ে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। বিমানবন্দরে নেমেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন। ফিরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব জানালেন, মাঠে ফেরার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন পুরোপুরি। সুস্থবোধ করলে ফিরতে পারেন সামনের মাসেই!

তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবের যে খেলা হচ্ছে না তা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও তার খেলা নিয়ে রয়ে গেছে অনিশ্চিয়তা। বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙুল কবে ঠিক হবে এ ব্যাপারে সাকিব নিজেও সঠিক তথ্য জানাতে পারলেন না। সন্দেহ রেখে দিয়েই বললেন, ‘এটা এমন একটা সমস্যা যার কোন সময় বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়। খুব ভালো বোধ করলে সামনের মাসেও খেলতে পারি! গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার হাতের শক্তি কতক্ষণে ফিরে আসে। রিহ্যাবের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে পারে। যদি আসে তাহলে সামনের মাসেও খেলতে পারি। আবার রিহ্যাবের পর ব্যথা অনুভব করলে অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। আশা করি একমাস পরই খেলতে পারবো।’

৭দিন মেলবোর্নে চিকিৎসা নেওয়া সাকিব ইতোমধ্যেই রিহ্যাব শুরু করেছেন। আঙুলের কন্ডিশন আগের চেয়ে ভালো বলে জানালেন, ‘আমি ইতোমধ্যে রিহ্যাব শুরু করে দিয়েছি। ওখানে হ্যান্ড থেরাপিস্টকে দেখানো হয়েছে। ওখানকার দেওয়া প্রেসক্রিপশন মেনেই কাজ করছি। কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারলে আমার জন্যই ভালো হবে।’

আঙুলের সবশেষ অবস্থা নিয়ে সাকিব জানালেন, ‘এই মুহূর্তে ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও প্রতি সপ্তাহে ব্লাড টেস্ট করে ইনফেকশনের বিষয়টিতে নিশ্চিত থাকতে হবে। এখন খুবই ভালো। কোনো সমস্যাবোধ করছি না। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার কতদিনে আমার শক্তি ফিরে আসে।’

সাকিবের আঙুলের ইনজুরি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে শতভাগ ঠিক না হলেও ক্রিকেটে খেলার মতো ঠিক হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে অস্ত্রোপচারের কোন প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে সাকিব বলেছেন, ‘সার্জারি ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে করা যাবে না। তবে সার্জারি না করেও হয়তো খেলা সম্ভব হতে পারে। এখন যেহেতু সার্জারি করার সুযোগ নেই। আমি ফিজিওর পরামর্শ অনুযায়ী সার্জারি বাদে কীভাবে খেলা যায় সেদিকেই মনোযোগ দিব।’

সাকিবের আঙুল যে শতভাগ আগের মতো থাকবে না সেটা ভালো করেই জানেন তিনি। তবে ক্রিকেট খেলা বিঘ্নিত হবে না বলেই জানালেন, ‘শতভাগ ঠিক হবে না, সেটা তো সত্যি কথা। অস্ত্রোপচার করলেও শতভাগ ঠিক হবে না। এমন অনেকেরই আছে। আর ঠিক না হলে যে খেলতে পারবো না এমনটাও নয়। এভাবেও ক্রিকেট খেলা যায়।’