ওপেনিং, ছয় এবং সাত নম্বরের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে মাশরাফি দুশ্চিন্তায় ছিলেন বেশ খানিকটা সময়। সেই সব জায়গায় কেবল সমস্যা দূর নয়, এখন একাধিক পারফরমারও তৈরি হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজে খেলা দল থেকেই বেশিরভাগ খেলোয়াড় বিশ্বকাপ খেলতে যাবে বলে ইঙ্গিত মাশরাফির, ‘খুব ভালো কয়েকটি ব্যাপার ঘটেছে এই সিরিজে। মিরাজ এই বছর ধরে খুব ভালো অবস্থানে আছে। সৌম্য থিতু হচ্ছে। ইমরুল বিবেচনায় আছে। মিঠুন ফর্মে আছে। আমাদের ১৬-১৭ জনের একটি দল আছে, আমার কাছে মনে হয় ওরা সবাই ফিট থাকলে এখান থেকেই বিশ্বকাপের স্কোয়াড তৈরি হবে।’
বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছু সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সে হিসেবে খুব বেশি পরিবর্তনের পথে হাঁটবে না মাশরাফিরা। তেমন আভাসই দিয়ে রাখলেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের আগে আমাদের কমপক্ষে সাতটি ম্যাচ আছে। তার আগে খুব বেশি পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আমরা এখান থেকেই দলটা তৈরি করবো।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই সেরা কম্বিনেশন পেয়ে দারুণ তৃপ্ত মাশরাফি। ক্যারিবিয়ান সিরিজের সাফল্য নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যেতে চান তিনি, ‘বিশ্বকাপের আগে ১২টি সিরিজের মধ্যে ৮টি জিতলে আত্মবিশ্বাসী হওয়ারই কথা। আমাদের সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। সিরিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গতবার আমরা ওদের ওখানে হেরেছি। আমার কাছে মনে হয়, এবার আমাদের দল আরও ভারসাম্যপূর্ণ। আগের বারের চেয়ে ভালো খেলবো। বিশ্বকাপের জন্যও কিছুটা হলে আদর্শ হবে। যদিও কন্ডিশন কিছুটা ভিন্ন। আশা করি আমরা ভালো খেলতে পারবো।’
তিন নম্বর পজিশনে ফিরে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। সৌম্যকে চেনা রূপে দেখে মাশরাফি বললেন, ‘সৌম্য আমাদের জন্য তিনে বা ওপেনিংয়েই আদর্শ। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনের কারণে সৌম্যকে তিনে খেলানো হয়েছে। আজকে ওর জায়গা ফিরে পেয়ে সে সেরাটা দিয়েছে।’
শুধু সৌম্য নয়, বিশ্বকাপের ভাবনায় পুরোটা জুড়েই আছেন সাইফউদ্দিন। তাকে ভালো খেলতে দেখে মাশরাফিও দারুণ খুশি, ‘আজকে রুবেলও ছিল না। সম্প্রতি রুবেল আমাদের সেরা বোলারদের একজন। তার বদলে সাইফউদ্দিন নেমে ভালো করেছে। আশা করি এই ফর্মটা সাইফউদ্দিন ধরে রাখতে পারবে।’