তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহরা জাতীয় দলে খেলছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। তাদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও বেশ সমৃদ্ধ। সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল তাদের নিয়ে বেশ আশাবাদী, ‘আশা করছি আমাদের তিন সিনিয়র ব্যাটসম্যান (তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ) তাদের উইকেটের মূল্য রাখবে। তামিম টপ অর্ডারে এবং বাকি দুজন মিডল অর্ডারে অবদান রাখবে। যা তরুণ খেলোয়াড়রা অনুসরণ করবে। তামিম তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে আছে। সে ও লিটন ভালো শুরু এনে দেবে। যাতে পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারে।’
তামিম দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই নিউজিল্যান্ড গেছেন। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দারুণ খেলেছেন। বিপিএলের ফাইনালে ৬১ বলে ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করার পরদিন নিউজিল্যান্ডগামী বিমানে চড়েছেন। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও তামিমের রানে ফেরার অপেক্ষা। ব্যাটিংয়ের ধরনের কারণে নিউজিল্যান্ডে সৌম্যর কাছে প্রত্যাশার মাত্রা খানিকটা বেশি। প্রথম ম্যাচে তারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
এদিকে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিমও আছেন দারুণ ফর্মে। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ম্যাচে মিডল অর্ডার সামলাতে হবে মুশফিককেই। তার ব্যাটিংয়ের ওপর বাংলাদেশের ইনিংস কতদূর যাবে অনেকটাই নির্ভর করছে। আশরাফুল অবশ্য কেবল মুশফিকের ওপর সব দায়িত্ব চাপাতে নারাজ, ‘মিডল অর্ডারে সাকিবের না থাকায় কিছুটা হলেও শক্তি কমেছে। সেক্ষেত্রে মুশফিককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে মুশফিক একাতো কিছু করতে পারবে না। শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটা বেশি। জিততে গেলে ৩০০-এর কাছাকাছি রান করতে হবে। এর কম হলে বোলারদের মধ্যে চাপ তৈরি হবে। ফলে লড়াই হলেও ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে না। তাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকেই জ্বলে উঠতে হবে।’
এদিকে প্রথম ম্যাচটি হেরে অধিনায়ক মাশরাফি ব্যাটিংয়ে উন্নতির ওপর জোড় দিয়েছিলেন। সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘আমরা ব্যাটিংটা ভালো করিনি। দ্বিতীয় ম্যাচের আগে আমাদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে হবে।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু হলেও আশরাফুল মনে করেন বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে পরের ম্যাচে, ‘গত কয়েক বছরে মানসিকতার অনেক উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। মানসিকতার জায়গা থেকে ড্রেসিংরুমের অবস্থা পুরোপুরি বদলে গেছে। আশা করি সবাই প্রথম ম্যাচের হারটি ভুলে ঘুরে দাঁড়াবে।’