ওয়ার্নারের সঙ্গে তিক্ততার কথা উড়িয়ে দিলেন ব্যানক্রফট

ক্যামেরন ব্যানক্রফট।কেপ টাউনে বল টেম্পারিংয়ের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। মাঠে যার প্রয়োগটা করেন দলের তরুণ সদস্য ক্যামেরন ব্যানক্রফট। সেই ঘটনায় তাদের মধ্যকার তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে মুখরোচক খবর শোনা গেছে কয়েকবার। এমন গুঞ্জন অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অজি ক্রিকেটার। উল্টো দাবি করেছেন, এই সময়ে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ত্রয়ী- ব্যানক্রফট, স্মিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার পাশে ছিলেন একে অপরের!

বল টেম্পারিং কাণ্ডের পর ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা পান স্মিথ আর ওয়ার্নার। তার চেয়ে কম ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় মাঠে সবার আগে ফিরেছেন ব্যানক্রফট। সিনিয়র কারো আজ্ঞাবাহী হয়ে এই কাজ করায় ওয়ার্নারের সঙ্গে সম্পর্কটা তিক্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ব্যানক্রফট জানালেন, দুঃসময়ে তাদের সবার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা, ‘আমি ডেভের সঙ্গে কথা বলেছি। শুধু আমি নই, আমার মনে হয় আমরা সবাই খুব চ্যালেঞ্জিং একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমি জানি এই সময়ে আমরা একে অপরের পাশেই ছিলাম।’

এমন অভিজ্ঞতার পর অবশ্য সব কিছু ভুলে সামনে তাকানোর কথা বললেন ব্যানক্রফট। তার মতে এটাই জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা, ‘আমার মনে হয় সবার সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আমি ডেভের সঙ্গে যখন কথা বলেছি, তখন অনেক কিছুই ওর সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি।’

অবশ্য ওয়ার্নারের সঙ্গে তার সম্পর্কটা তিক্ত কিনা তার আভাসটা মিলেছিলো সবশেষ গিলক্রিস্টকে দেওয়া তার একটা সাক্ষাৎকরে। সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ওয়ার্নারকে নিয়ে ব্যানক্রফটের করা মন্তব্যই তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুঞ্জনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং তখন এমন মন্তব্যে বলে বসেন- ‘ব্যানক্রফট তার সতীর্থকে সরাসরি বাসে চাপা দিয়ে ফেলেছে।’ এই বিতর্ক নিয়ে ব্যানক্রফটের মন্তব্য, ‘আমার মনে হয় আমার ভালো শিক্ষা হয়েছিলো যা সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চেয়েছি। সেই জন্যে গিলক্রিস্টের সঙ্গে সব কিছু ভাগাভাগি করেছি সাক্ষাৎকারে। সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চাওয়া ছিলো আমার একক প্রচেষ্টা মাত্র। যাতে করে আমার জীবনের এই সময়ের ঘটনা দিয়ে লোকজনের হৃদয় স্পর্শ করতে পারি। নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তাদের সহায়তা করতে পারি।’