এবার ভারতকে হারাতে পারবে পাকিস্তান?

ভারত ও পাকিস্তানভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনার পারদ থাকবে শীর্ষে। উপমহাদেশ তো বটেই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এই ম্যাচ মানে ‘হট কেক’। তবে বিশ্বকাপে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখিতে বেশ পিছিয়ে পাকিস্তান। ছয় বারের মুখোমুখিতে জয়ের মুখ দেখতে পারেনি ১৯১৯২ সালের চ্যাম্পিয়নরা। বরং ভারত জিতে উত্তাপটা বেশ জিইয়ে রেখেছে।

তবে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক এবারের দলকে নিয়ে আশাবাদী। বিশ্বকাপে তাদের সেই গেরো খুলবে বলেই তার বিশ্বাস। তারা এবার হারিয়ে দেবে  ভারতকে, ‘এবার ভারতের বিপক্ষে জিতে আমরা হারের রেকর্ড থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। পুরো দলের প্রতি সেই আস্থা আছে। অন্তত এই ম্যাচ জিতে আরও উজ্জীবিত থাকবে দল।’

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড নেই পাকিস্তানের। তারপরেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে রাজনৈতিক বৈরিতায় তাদের দেখা হয় না। মুখোমুখি হয় কেবল বিশ্বকাপে। তাই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বির লড়াই দেখার অপেক্ষায় থাকেন লক্ষ-কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। এবারের লড়াই নিয়ে ইনজামামের উপলব্ধি, ‘পাকিস্তান-ভারত ক্রিকেট ম্যাচকে সাধারণ মানুষ অন্য উচ্চতায় দেখে থাকে। গুরুত্বের সঙ্গে তারা ম্যাচটি নেয়। এমনও কেউ কেউ আছে যারা শুধু বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে পারলে নিজেদের বেশ সুখী মনে করে।’

তাই তো একসময়ের মারকুটে ব্যাটসম্যান মনে করছেন, এবার ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অন্তত ভারতকে হারিয়ে নিজেদের সমর্থকদের মন জয় করা যাবে, ‘আমি আশাবাদী। পরবর্তী ম্যাচ আমরা জিততে পারবো। আগের হারের আর পুনরাবৃত্তি হতে দিবো না।’

অবশ্য শুধু ভারতকে নিয়েই চিন্তা করছেন না ইনজামাম। অন্য প্রতিপক্ষকে নিয়েও তার ভাবনা কম নয়। তবে পাকিস্তান বিশ্বকাপে যাচ্ছে কিছুটা তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। বিশ্বকাপের আগে ১০ টি ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছে। সর্বশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছেও আছে হারের রেকর্ড। নিজ দেশের হয়ে ১২০ টেস্ট খেলা ইনজামাম তাই খুব সাবধানী, ‘পাকিস্তানকে শুধু ভারতকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। অন্য ম্যাচও আছে। অন্য প্রতিপক্ষদের হারানোর সামর্থ্যও দলটার আছে। আমাদের শুরুটা ভালো করতে হবে। আশা করছি আমরা সমর্থকদের মন জয় করতে পারবো। শেষ চারে যেতে পারবো।’

পাকিস্তানের এই দল নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। ইনজামামকে যে কারণে সমালোচনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। শেষ মুহূর্তে দল নির্বাচন নিয়ে অবশ্য পাকিস্তানের এই সাবেক তারকা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘লোকজন মনে করে দল গঠন করা সহজ কাজ। শুধু আদেশ অনুযায়ী ১৪-১৫ জনের নাম সাজালেই হয়। কিন্তু আসলে এটা তা নয়। অনেক চাপ নিয়ে দল গঠন করতে হয়। এই যেমন ফাস্ট বোলার আপনি কাকে বাছাই করবেন? এখানে অনেক নাম আছে। তাদের মধ্যে থেকে কাউকে বাছাই করা সত্যিকার অর্থে কঠিন কাজ।’