মাসকটের সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে স্বাগতিকরা আক্রমণ শাণিয়ে খেলেছে। তাদের আক্রমণে রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের। তবে প্রথমার্ধে নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পেরেছে সফরকারী দল। একের পর এক গোলের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছেন গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা সহ অন্যরা।
ম্যাচের ৯ মিনিটে ওমানের একটি প্রচেষ্টা গোলকিপার রানা ফিস্ট করেছেন। ১১ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বক্সের বাইর থেকে জোরালো শট নিলেও দীর্ঘকায় গোলকিপার আলি আল হাবসি রুখে দিয়ে হতাশ করেছেন তাকে।
এরপর আবারও ওমানের আক্রমণের ঢেউ। ১৭ মিনিটে ওমানের আল মানধার শট নিলেও গোলকিপার গ্রিপে নিয়ে নেন তা। ২৪ মিনিটে এই মিডফিল্ডারের আরও একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।২৯ মিনিটে মহসিন আল খালদির বাম পায়ের জোরালো শট গোলকিপার ফিরিয়ে দেন। এই অর্ধে গোলশূন্য স্কোরলাইন রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর আরও বেশি ধারালো ছিল ওমানের আক্রমণ। ম্যাচের পাঁচটি গোলই হয়েছে এই অর্ধে। ৪৭ মিনিটে মহসিন আল খালদি বাম পায়ের জোরালো শটে গোলের সূচনা করেন।
৬৭ মিনিটে হয় ২-০। মুহসেন সালে প্লেসিং করে ব্যবধান বাড়িয়ে নেন। ৭৮ মিনিটে আরশাদ সাইদ তৃতীয় গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। তিন গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ ম্যাচে সান্ত্বনার গোলটি পায় ৮০ মিনিটে। বিপলু আহমেদ বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান ৩-১ করেন।
এরপর বাংলাদেশ একাধিক সুযোগ পেলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। বরং ইনজুরি সময়ে আমরান সাইদের গোলে চতুর্থ গোল তুলে নেয় ওমান।