পিএসএলে দুর্নীতিতে জড়ানোয় গত বছরের আগস্টে তাকে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় পিসিবি। তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইউসুফ আনোয়ার ও মোহাম্মদ ইজাজ। ২০১৭ সালে এই অভিযোগে ইংল্যান্ডে আটক হন তারা। সেখানেই শুরু হয় বিচার কাজ। আগে দোষ স্বীকার না করলেও আজ শুনানির শুরুতে দোষ স্বীকার করে নেন নাসির। তার দুই সহযোগী অবশ্য পিএসএলে অর্থ দিয়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ পাতাতে ফুসলানোর কথা স্বীকার করেছেন।
তদন্তে আরও জানা গেছে, ২০১৬ সালে বিপিএলে ফিক্সিংয়েরই চেষ্টা করেছিলেন নাসির। পিএসএলে ফিক্সিংয়ে ভূমিকা রাখতে পারলেও বিপিএলে পারেননি। এর মধ্যে রংপুর রাইডার্সের হয়ে প্রথম চেষ্টায় ব্যাটে পূর্ব নির্ধারিত গ্রিপ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিন পূর্বনির্ধারিত কোনো সংকেতই দেননি তিনি। দ্বিতীয় চেষ্টায় বরিশাল বুলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ফিক্সিংয়ের কথা থাকলেও সেই ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়ে যাওয়াতে তা সম্ভব হয়নি।
জামশেদের সঙ্গে আটক হওয়া আনোয়ার জানান, আন্ডার কভার অফিসারের সঙ্গে ২০১৬ সালের নভেম্বরে একটি হোটেলে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানেই জানান স্পট ফিক্সিংয়ে ১০ বছর কাজ করছেন। আরও জানান, বিপিএলে তার হয়ে কাজ করছেন ৬জন ক্রিকেটার!