৭ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলের ম্যাচ!

মিরপুরে বৈঠকে বসেছিল বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি। প্রথমবার ভারতে খেলা দিবা-রাত্রির টেস্টে সুবিধাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। এর কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে খেলতে না পারা। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে (৪ দিনের ম্যাচে) গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির প্রথম ম্যাচটিই হয়েছিল ২০১২ সালে। এবার অবশ্য প্রস্তুতিতে কোনও ঘাটতি রাখতে চাইছে না বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) অষ্টম আসরের ফাইনালটি হতে পারে গোলাপি বলে।

২০১২ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম আসরের ফাইনালটিই খেলা হয়েছিল গোলাপি বলে। তাই সব ঠিক থাকলে ৭ বছর পর এমন আয়োজনের দেখা মিলতে যাচ্ছে!

বৃহস্পতিবার মিরপুরে বৈঠকে বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টুর্নামেন্ট কমিটি। সেখানে বিসিএলের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পাশাপাশি গোলাপি বলে বিসিএল ফাইনালের প্রস্তাবটিও রাখা হয়েছে। এর আগে ২৭ জানুয়ারি বিসিবিতে হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট।

গত নভেম্বরে ভারতের মাটিতে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ইডেনে দিবা-রাত্রির সেই টেস্টে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনভ্যস্ততা ফুটে ওঠে প্রকটভাবে। আগামীতে গোলাপি বলের টেস্ট হলে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি যেন ভালো ভাবে হয়-সেই চিন্তা থেকেই বিসিএলের অষ্টম আসরের ফাইনাল গোলাপি বলে আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি এ প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবই দেখিয়েছে। বিসিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের প্রধান সমন্বয়ক ও ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম জানিয়েছেন, ‘আমরা গোলাপি বলে ফাইনাল করার প্রস্তাব দিয়েছি। মানে দিবা-রাত্রির ম্যাচ। বিসিবির মনোভাবও ইতিবাচক।’

ফাইনাল ম্যাচটি টিভিতে সম্প্রচারের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বোর্ড পরিচালক ও বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করতে পারলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক ভালো হবে। আমরা লক্ষ্য রাখছি কীভাবে কী করতে পারি। সবগুলো না হোক, একটা ম্যাচও যদি আমরা টিভিতে দেখাতে পারি, শুধু ফাইনালটি। তাহলে সেটাও একটা বড় ব্যাপার হবে।’

আগামী ৩১ জানুয়ারি জাতীয় ক্রিকেট লিগের সেরা ৮০ ক্রিকেটারকে নিয়ে হবে বিসিএল। প্রথম ও তৃতীয় রাউন্ডে খেলবেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। বিসিএলে সুযোগ পেতে খেলোয়াড়দের দিতে হবে বিপ টেস্ট। ২৬ জানুয়ারি মিরপুরে হবে বিপ টেস্ট। দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং বিসিবির দুই দল নিয়ে এবার হবে বিসিএল।

দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি দল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল ও ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল। ফ্র্যাঞ্চাইজি না পেলে বাকি দল দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল নিজের খরচে চালাবে বিসিবি। এবার সিঙ্গেল লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের জন্য ডাবল লিগ পদ্ধতিতে ম্যাচ আয়োজন করছে না বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি।

বৈঠক শেষে বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বিসিএল আমরা ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করতে যাচ্ছি। প্রাইম ব্যাংক এবারের আসরে থাকছে না। আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি খুঁজছি। এখন সময় অনেক অল্প। কেউ না আসলে বিসিবিকে দায়িত্ব নিতে হবে দল চালানোর জন্য।’