প্রবীণতম হিসেবে আইপিএল খেলা হচ্ছে না প্রবীণ তাম্বের

প্রবীণ তাম্বে। বয়সের সঙ্গে নামেরও অনেক মিল প্রবীণ তাম্বের। ৪৮ বছর বয়সে যখন ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবার কথা, সেই বয়সেই তাম্বে আইপিএলের নিলামে নাম তোলেন। কিন্তু নিজের ভুলে সবচেয়ে বেশি বয়সে আরেকটি আইপিএল খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন। আগামী ২৯ মার্চ শুরু ২০২০ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলা হচ্ছে না তাম্বের।

গত ডিসেম্বরে আইপিএল নিলামে তাকে ২০ লাখ রুপিতে দলে নেয় শাহরুখ খানের কেকেআর। নিলামের পর পরই হৈচৈ। কারণটা স্বাভাবিক, বয়সের ‘হাফসেঞ্চুরি’ করার দুই বছর আগেও কিনা ২২ গজে নামবেন। কিন্তু কীভাবে? তাম্বে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘নিজেকে ২০ বছরের তরুণ মনে করি বলে এখনও খেলতে পারছি। নিজের অভিজ্ঞতা ও শক্তির পুরোটা দলকে দেওয়ার চেষ্টা করবো।’ কিন্তু সেই সুযোগ আর পেলেন কই? বাঁহাতি এই স্পিনার ভুলটা করে বসেন গত বছর আবুধাবিতে টি-টেন লিগে খেলে। তাম্বে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) অনুমতি না নিয়েই সেখানে খেলতে গিয়েছিলেন।

এসব লিগে খেলতে বোর্ডের অনাপত্তি পত্র (এনওসি) লাগে। তবে অবসরে গেলে সমস্যা নেই। কিন্তু তাম্বে তো আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি। এজন্যই তাকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দেয়নি আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আইপিএলের নতুন চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল বলেছেন, ‘তাম্বে আইপিএল খেলতে পারবে না। তাকে অনুমতি দিলে বাকিদেরও দিতে হবে।’
প্যাটেল আইনের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘বোর্ড সাধারণত ওয়ানডে, তিনদিন-চারদিনের ম্যাচ অথবা কাউন্টি খেলতে অনুমতি দেয়। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনের এনওসি নিতে হয়।’
কেকেআর তাম্বের কোনও বিকল্প খেলোয়াড় নিয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। এর আগে চার মৌসুমে তিনটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন মুম্বাইয়ের স্পিনার। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্য়ন্ত রাজস্থান রয়্যালসে, ২০১৬ সালে গুজরাট লায়নস এবং ২০১৭ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন। আইপিএলে তাম্বের সোনালি মৌসুম গেছে ২০১৪ সালে। সেবার রাজস্থানের হয়ে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। তিন মৌসুমে তার শিকার ২৮ উইকেট।