এক সপ্তাহ আগে ইনস্টাগ্রামে সেরেনা জানান, করোনার কারণে ছয় সপ্তাহ নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখবেন। ভেবেছিলেন পরিবারের সঙ্গে সময়টা ভালো কাটবে। কিন্তু বিশ্বের সংকটময় পরিস্থিতিতে বিষণ্নতায় ভুগছেন আমেরিকান টেনিস তারকা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তার।
৩৮ বছর বয়সী সেরেনা ‘একঘরে’ থাকার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছেন ভক্তদের সঙ্গে, “আমি এক মিনিট সময় নেবো, করোনায় আমার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে চাই। প্রথমে আমার অনুভূতিটা ছিল এরকম: ‘আমার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না এটা।’ তারপর হঠাৎ করে ইন্ডিয়ান ওয়েলস স্থগিত হলো এবং তখন মনে হচ্ছিল: ‘ওহ, খারাপ লাগলো। কিন্তু আমি তো কিছুটা বিশ্রাম পেলাম, সময়টা উপভোগ করবো।’ তারপর একটা একটা করে টুর্নামেন্ট স্থগিত হলো, একটা সময় আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম।”
ছোটখাটো বিষয়েও সেরেনা এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি, সম্ভবত দুই সপ্তাহ। প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়েও আমি দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি। এই উৎকণ্ঠা, এক কথায় আমি দুশ্চিন্তায় আছি। আমার আশেপাশে যেকোনও সময় কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে খেপে যাচ্ছি। কারও সঙ্গ ভালো লাগছে না, কারও মানে আমার মেয়ের সঙ্গও। সে কাশি দিলেও আমি রেগে যাচ্ছি এবং চোখ বড় করছি। সে রাগী সেরেনাকে দেখছে। এরপর কষ্ট হচ্ছে। দুশ্চিন্তা হচ্ছে: সে ঠিক আছে তো? আমার মেয়ের কোনও কিছু হয়নি তো? আমার কী কিছু করার আছে। আমি জানি না কী করতে হবে। চিন্তামুক্ত থাকতে পারলাম কই, আমার মধ্যে এখন একরাশ বিষণ্নতা।’
এভাবে কতদিন কাটবে জানেন না সেরেনা। অন্তত তিন মাস কোর্টে ফেরা হবে না। কারণ এটিপি ও ডাব্লিউটিএ সব টুর্নামেন্ট জুন পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। আর পুরো ক্লে-কোর্ট মৌসুমই বাতিল করা হয়েছে।