তবুও থেমে নেই তিনি। ঘরে যা আছে, তাই নিয়েই নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করেছেন। বাসার অনেক আসবাবপত্রকে ব্যায়ামের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। টেড্রমিল না থাকায় বাসার সিঁড়ি ব্যবহার করছেন।
এই ফিটনেস ধরে রাখার বিকল্প কৌশল নিয়ে জাহানারা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বদ্ধ জায়গাতে সঠিকভাবে ফিটনেস ধরে রাখা প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের জন্য কঠিন। ফিটনেস ছাড়া আসলে একজন ক্রীড়াবিদের কোন স্কিলেরই মূল্য নেই। ফিটনেস ঠিক থাকলে গ্যাপ দিয়ে হলেও স্কিল অনুশীলন করা যায়। কিন্তু এই অবস্থায় আমাদের জন্য ফিটনেস ধরে রাখাটা খুব কঠিন।’
তার পরেও কষ্ট করে যতটুকু পারা যায় সেই চেষ্টাটা করছেন জাহানারা। প্রতিকূলতা থাকলেও বিকল্পতেই কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন, ‘তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। যাদের বাসায় জিমের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা আছে, তাদের হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু আমার বাসায় সেই সুবিধা নেই। কেবল ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজগুলো করছি। এগুলো আসলে ফিটনেস উন্নতিতে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। শুধু ধরে রাখতে সহায়তা করে। যা আসলেই কঠিন। তবে খেলাধুলা নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করা উচিতও না। বর্তমান যে পরিস্থিতি সেখানে জীবনটাই আগে। যদি জীবন ঠিক থাকে, ইনশাল্লাহ একটু বেশি পরিশ্রম করে সেটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
ক্রিকেটারদের ফিট রাখতে বিসিবি ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিল। জাহানারা সেগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারছেন না রানিং মেশিন না থাকায়, ‘বিসিবি ফিটনেসের জন্য আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু ট্রেডমিলের রানিং ছাড়া বাকি সব চেষ্টা করছি। এর বদলে আমি সিঁড়ি ব্যবহার করছি।’
টানা ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে থাকতে অস্বস্তি-ই লাগছে জাহানারার। তার পরেও দেশের ভালোর জন্য ঘরেই আছেন। নিজের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এই সময়টা মানসিক ও শারীরিকভাবে কঠিন যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় মাঠে পরিশ্রম করলেই বরং ক্লান্তি কম লাগে। বাসায় থেকে কাজ করলে সেটা বেশি লাগছে। খেতে-ঘুমাতে কোন কিছুই ইচ্ছে করে না। এখন ১২-১ টা পর্যন্ত জেগে থাকছি, কিন্তু ঘুম আসে না। যেখানে আমি রান্না করতে পছন্দ করি, সেটাও করছি না। সবকিছু মিলিয়ে বর্তমান সময়টা খারাপ যাচ্ছে। তবে আমাদের এসব কিছু উত্তরণ করতে হবে। সবাইকে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। নাহলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা আমাদের আরও চেপে ধরবে।’