ডেনমার্কের ফুটবলে জুম ব্যবহার করে ভার্চুয়াল দর্শক

Danish superligaডেনমার্কের শীর্ষ ফুটবল লিগ সুপারলিগা শুরু হচ্ছে ২৮ মে থেকে। সেরেস পার্কে অনুষ্ঠেয় প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি এজিএফ আরহাস মুখোমুখি হবে র‌্যান্ডার্সের। বলাইবাহুল্য, করোনাভাইরাস সতর্কতার জন্য দর্শকের মাঠে ঢোকার অনুমতি নেই। কিন্তু তারপরও দর্শক থাকবে মাঠে। কেমন করে?

সত্যিকারের রক্তমাংসের শরীরে উপস্থিত হবে না এই দর্শকেরা, তাদের উপস্থিতি আসলে ভার্চুয়ালি। অনলাইন অ্যাপস জুম ব্যবহার করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তারা গ্যালারিতে গলা ফাটাবে প্রিয় দলের জন্য। শুধু লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকা আরহাস ক্লাবই তাদের সমর্থকদের জন্য এটি ব্যবহার করবে পরীক্ষামূলকভাবে। ভবিষ্যতে হয়তো অন্য দলগুলোও তাদের অনুসরণ করবে।

বিনে পয়সার টিকিটের জন্য দর্শকদের আগে আবেদন করতে হবে। টিকিট পেলেই তারা ভার্চুয়াল গ্র্যান্ড স্টান্ডে ভার্চুয়ালি ঢোকার সুযোগ পাবে। গ্র্যান্ড স্টান্ডে আছে ২২টি সেকশন। জুমের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্স করে প্রতিটি সেকশনে থাকা পর্দায় দর্শকদের ফিড দেখানো হবে।  

সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারির তাণ্ডবের মধ্যেও বেলারুশের ফুটবল লিগ চলেছে। অনলাইনে টিকিট কাটা দর্শকদের কাট-আউট রেখে ‘নকল’ দর্শকের আমদানি করা হয়েছে গ্যালারিতে। কখনও কখনও ব্যবহার করা হয়েছে মানবপুতুল (ম্যানিকুইন)। দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল লিগেও অল্প-বিস্তর এটি করা হয়েছে। করা হয়েছে তাইওয়ানের বেসবল লিগে। কিন্তু অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করে মাঠে ভার্চুয়াল দর্শকের উপস্থিতি ঘটতে যাচ্ছে এই প্রথম।

ফুটবল মাঠে একটি ‘প্রথম’ উপহার দিতে যাওয়ার আগে এজিএফ আরহাসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাকব নিলসেন রীতিমতো উচ্ছ্বসিত, ‘বিশ্বে প্রথম ক্লাব হিসেবে এটি ব্যবহার করতে যাচ্ছি, এজন্য আমরা খুব গর্বিত। এখন মনে হচ্ছে বেশ কিছুদিন দর্শক ছাড়াই আমাদের চলতে হবে। সুতরাং আমাদের দেখাদেখি অন্য ক্লাবগুলোও যদি এরকম কোনও উদ্যোগ নেয় তাহলে ভালো হয়।’

করোনাজর্জরিত এই সময়ে বিশ্বজুড়ে লকডাউনে আটকে থাকা কোটি মানুষের কাছে দলবদ্ধভাবে অশরীরী কিন্তু জীবন্ত উপস্থিতির একটা জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে অনলাইন অ্যাপ জুম।