পাকিস্তানের সাবেক পেসার সিকান্দার বখত সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে দাবি করেন যে স্টোকস তার সাম্প্রতিকতম বইতে লিখেছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে ভারত ইচ্ছে করেই হেরে গেছে। স্টোকসের বইকে সাক্ষী মেনে বখত বলতে চেয়েছেন ভারত ইচ্ছে করে হেরেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় করে দেওয়ার হীন উদ্দেশ্য থেকেই।
বখতের এই টুইটের প্রত্যুত্তরে এক টুইটার ব্যবহারকারী জানতে চান স্টোকস তার বইয়ের কোথায় এমন মন্তব্য করেছেন। এই টুইটার ব্যবহারকারীর উত্তরটা টুইটেই দিয়েছেন গত বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার স্বয়ং, ‘আপনি ওটা খুঁজে পাবেন না। কারণ আমি কখনও তা বলিনি… একেই বলে “কথার বিকৃতি” বা “ক্লিকবেইট”।’
গত বিশ্বকাপের বাঁচন-মরণ ম্যাচে ইংল্যান্ড এজবাস্টনে ভারতের মুখোমুখি হয় ৩০ জুন। জনি বেয়ারস্টোর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, সঙ্গে জেসন রয়ের ৬৬ এবং স্টোকসের ৫৪ বলে ৭৯ রানের দুটি ইনিংস ইংল্যান্ডকে তুলে দেয় ৩৩৭ রানের পাহাড়ে। তারপর নিজেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতের তারায় ভরা ব্যাটিং লাইনআপকে স্টোকসরা থামিয়ে দেন ৫ উইকেটে ৩০৬ রানে। ৩১ রানে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এ ম্যাচ হেরে বিরাট কোহলির ভারতকে অবশ্য প্রচুর সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। বিশেষ করে উইকেট হাতে রেখেও তাদের রান তাড়া করার ভঙ্গির জন্য। শেষের দিকে তাদের মধ্যে মরিয়া ভাবটা যেন ছিল না। প্রশ্ন ওঠে মহেন্দ্র সিং ধোনির রান তাড়া করার তৎপরতা নিয়ে। ম্যাচ শেষ করে আসার যে সামর্থ্য ও কৌশল তার ছিল, সেটি কি ধোনি তাহলে হারিয়ে ফেললেন, প্রশ্ন ওঠে এমনটাও।
স্টোকস গত বছরের শেষদিকে প্রকাশিত তার এই আত্মজীবনীতে ভারতীয়দের রান তাড়া করার বিষয়টি নিয়েই বলেছেন, বলেছেন এতগুলো উইকেট হাতে রেখে ভারতীয় দলকে একদম শেষ পর্যন্ত যেতে দেখাটা ছিল বিস্ময়কর।
২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় আসলে বলতে চেয়েছেন, রান-রেটের চাপটা বাড়িয়ে একেবারে শেষের দিকে যাওয়াটা এখন আর মোটেই কোনও কাজের কৌশল নয়। কারণ একটা উইকেট পড়ে গেলেই নতুন ব্যাটসম্যানের ওপর চাপ পড়ে আরও বেশি।