ভিসা ও সন্ত্রাস নিয়ে এখনই পিসিবি-বিসিসিআইয়ের অস্বস্তি

RESIZED-IMAGE-DTC-3আগামী তিন বছররের মধ্যে ক্রিকেটের দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারত। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ বিশ্বকাপ। সে নিয়ে এখন থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট অঙ্গনে। বিশেষ করে চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একধরনের অস্বস্তিকর বাতাস যেন বইতে শুরু করেছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে যে পাকিস্তান দল যখন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে আসবে ভারতে, তখন যেন ভিসা নিয়ে কোনও জটিলতা সৃষ্টি করা না হয়। আবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) বলছে, পিসিবিকেও গ্যারান্টি দিতে হবে যে পাকিস্তানের দিকে থেকে কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে না।

সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের কাছে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আইসিসির আইনে পরিষ্কার বলা আছে যে খেলার ব্যাপারে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না। উল্টোদিকে এটাও বলা আছে যে, কোনও বোর্ড সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।

 ‘পিসিবি কি আমাদের পাকিস্তান সরকারের হয়ে লিখিতভাবে নিশ্চয়তা দিতে পারবে যে তাদের দিক থেকে কোনও আক্রমণ বা অস্ত্র-বিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বা পুলওয়ামা ধরনের কোনও সন্ত্রাসী কার্যক্রম ভারতের মাটিতে চালানো হবে না?’

‘এটি আইসিসিরই আইন যে খেলা পরিচালনায় সরকারের কোনওরকম হস্তক্ষেপ খেলাটির প্রশাসনে থাকতে পারবে না, আবার উল্টোদিকে বোর্ডও সরকারের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। আইসিসিতে এমন একজন লোক আছেন যিনি ভারতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করছেন এবং এখনই সেটি বুঝে পিসিবির উচিত তার এজেন্ট হয়ে কাজ করা থেকে বিরত হওয়া’-বলেছেন বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা।

এর আগে পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম খান ইউটিউব চ্যানেল ‘ক্রিকেট বাজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘২০২১ ও ২০২৩ সালে ভারতে দুটি বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে। আমাদের এখন তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আমরা আইসিসিকে এরইমধ্যে বলেছি যে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আমাদের লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে যে ভারতের ভিসা আমরা পাবো এবং সেখানে খেলার অনুমতিও মিলববে।’

ওয়াসিম আরও বলেন যে সম্প্রতি পাকিস্তানের কয়েকটি ক্রীড়া দল ভারতে খেলার অনুমতি ও ভিসা পায়নি। সে জন্যই তিনি আগেভাগে নিশ্চয়তা চাইছেন। এবং এগুলো যেহেতু আইসিসির ইভেন্ট, তাই আইসিসির দায়িত্ব একটি পূর্ণ সদস্য দেশ ও অংশগ্রহণ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীদের বিষয়গুলো দেখা।

ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়াসচিব রাধেশ্যাম জুলানিয়া বলেছেন, ২০১৯ সালের জুন মাস থেকেই ভিসা সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। বহুজাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণকারী সব দেশের খেলোয়াড়দেরই ভিসা দেওয়া হচ্ছে।