স্টোকসের ‘ডাবল’, বোলিংয়েও ইংল্যান্ডের ভরসা অধিনায়ক

বেন স্টোকস: ৪ হাজার রান ও ১৫০ উইকেটের ‘ডাবল’দুই দলের লড়াইয়ের মুখই যেন দুই অলরাউন্ডার, দুই অধিনায়ক। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের পক্ষে বেন স্টোকস, সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জেসন হোল্ডার। আগেরদিন হোল্ডারের সিম বোলিংয়ের তোপের মুখে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে দলকে ২০৪ রানে নিয়ে যেতে বড় ভূমিকা রেখেছেন স্টোকস। আজ শুক্রবার যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে অনেক বড় লিড নেওয়ার হুমকি দিতে শুরু করলো, পেস বোলিংয়ে আসল কাজটা করলেন অধিনায়ক। দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৪ উইকেট নিয়েছেন ৪৯ রানে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তার কারণেই অলআউট ৩১৮ রানে।

বিনা উইকেটে ১৫ রান তুলে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ইংল্যান্ড। ১১৪ রানের লিড কাটাকুটি করে নামিয়ে এনেছে দুই অঙ্কে, ৯৯ রানে। তারপরও দৃশ্যত সাউদাম্পটন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজই এগিয়ে আছে। মেঘহীন ঝকঝকে আকাশের নিচে কন্ডিশন অন্য দুদিনের চেয়ে ছিল অনেক ভালো। এটাই আশা দিচ্ছে ইংল্যান্ডকে। যদি শনিবার চতুর্থদিনে দুর্দান্ত ব্যাট করে দুশোর বেশি রানের লক্ষ্য চাপিয়ে দিতে পারে উইন্ডিজকে, তাহলে পঞ্চম দিনের ফাটকাটা তাদের পক্ষে যেতেও পারে। তবে সেটি যে খুব সহজ কাজ নয় তা ভালোই বুঝতে পারছে ইংল্যান্ড।

আগের দিনের ১ উইকেটে ৫৭ রান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ৩১৮ রান পর্যন্ত লম্বা হয়েছে মূলত ক্রেগ ব্রাথওয়েট (৬৫), শেন ডাওরিচ (৬১) ও রোস্টন চেজের (৪৭) ব্যাটিংয়ে। এর মধ্যে ষষ্ঠ উইকেটে ডাওরিচ ও চেজের ৮১ রানের জুটিটাই আসল। এই জুটিটাই ইংল্যান্ডকে হতাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনেক দূর এগিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিল। চেজকে এলবিডব্লিউ করে ভাঙেন সেটি জেমস অ্যান্ডারসন। তারপরই দৃশ্যপটে স্টোকস। হোল্ডার তাকে আউট করে উল্লাস করেছিলেন, এবার হোল্ডারকে আউট করে উচ্ছ্বাসে ভাসেন স্টোকস। তারপর ফিরিয়েছেন আলজারি জোসেফকে ও ডাওরিচকে। জোসেফের উইকেট নিয়ে ১৫০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। এটি তাকে দিয়েছে এক অভিজাত ক্লাবের সদস্যপদ। টেস্টে গ্যারি সোবার্স, ইয়ান বোথাম, কপিল দেব, জ্যাক ক্যালিস ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ৪ হাজার রান ও ১৫০ উইকেটের ডাবল হলো তার। দিনের প্রথম সেসনে স্টোকসের প্রথম শিকার ওপেনার ব্রাথওয়েট, ক্যারিবীয়দের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

ব্যাটিংয়ের ভরসা স্টোকস, বোলিংয়েও। তিন উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। ডম বেস তার অফ-স্পিনে শেই হোপ ও জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে ফিরিয়ে ভূমিকা রেখেছেন। জফরা আর্চার উইকেটশূন্য। ‘নাম্বার ইলেভেন’ শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের স্টাম্প উপড়েছেন মার্ক উড, কিন্তু তাতেও ঢাকছে না দুই গতিতারকার ব্যর্থতা। স্টুয়ার্ট ব্রডকে না নিয়ে তাহলে ভুলই করেছে ইংল্যান্ড?

চতুর্থদিনে ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে না পারলে এই ভুল বড় হয়ে উঠবে আরও।