অনুশীলনের সুযোগ পেয়ে বিসিবিকে ধন্যবাদ

মিরপুর ইনডোরের নেটে ইমরুল ও মুশফিক দুই মাস আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন করতে চেয়েছিলেন ‍মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম প্রস্তুত নয়, এমনটা জানিয়ে মুশফিককে  ‘না’ করে দেয় বিসিবি। তবে চলতি মাসে ক্রিকেটারদের আগ্রহের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিরপুরে অনুশীলনের সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। আর এজন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।  

গত ১৯ জুলাই থেকে মিরপুরে সূচি করে অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয় বিসিবি। সূচি অনুযায়ী ছয়জন ক্রিকেটার এক সপ্তাহ ধরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সবুজ চত্ত্বরে অনুশীলন করেছেন। বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘গত ৪ মাস সবার জন্যই কঠিন সময় গেছে। আমরা চেষ্টা করেছি বাসা থেকে যতটুকু কাজ করা যায়। আমার জীবনে প্রথমবার দেখা এমন চার মাস প্রায় লকডাউন। বিসিবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ যে তারা আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে, তারা এত সুন্দর পরিকল্পনামাফিক ৭-৮ দিন অনুশীলন করার সুযোগ করে দিয়েছে।’

মাসে দুয়েক আগে বিসিবির কাছে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে পাননি মুশফিক। পরে তিনি নিজের উদ্যোগে বাড্ডার একটি মাঠে অনুশীলন করেন। এরপর বিসিবি আগ্রহী ক্রিকেটারদের হোম অব ক্রিকেটেই অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেয়। মাঠে অনুশীলনের গুরুত্বটা জানেন মুশফিক, ‘আমি ৭-৮ দিন যেটা করেছি এটা খুবই ভালো হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। চার মাস ইনডোরে কাজ করা আর বাইরে কাজ করা সম্পূর্ণ আলাদা। চাচ্ছিলাম যে রোদে ও আউটফিল্ডে যেন রানিং টা করা যায়, ফিটনেস ওয়ার্কের সাথে স্কিল ওয়ার্কও। বিসিবির জন্যই কাজগুলো করতে পেরেছি।’ অনুশীলন করতে গিয়ে শুরুতে একটু ভয় ভয়ও করছিল মুশফিকের, ‘আমাকে জিজ্ঞেস করা হলে আমি বলবো শুরুর দিকে একটু দ্বিধায় ছিলাম। একটু ভয় লাগছিল যে কীভাবে হবে আর আদৌ হবে কি না, যেহেতু মিরপুরের আশেপাশে সব জায়গা রেড জোন। তো এখানে এসে যেটা দেখলাম আসতে আসতে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এখানে এত সুন্দর পরিবেশ ও এত পরিষ্কার। আমি মনে করি ব্যক্তিগত অনুশীলন বাকি ৫-৬ জন আমার সঙ্গে যারা করেছে তারাও একমত হবে। খুবই ভালো একটা পরিবেশ ছিল, আমরা অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি।

 

মুশফিক মনে করেন শুরুতে কিছুটা কষ্ট হলেও অনুশীলন করতে করতে মানিয়ে নেওয়া গেছে, ‘দেখেন সবকিছুই আসলে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার। আমরা কেউই চাইনা বাসায় বসে থাকতে। গত চার মাস আমাদের প্রায় বাসায়ই বসে থাকতে হয়েছে। যে নিয়ম-কানুনগুলো হবে সেগুলো অবশ্যই ভালোর জন্য। এবং এটা আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। আমি মনে করি শুরুতে কিছুটা সমস্যা হলেও অনুশীলনে আসতে আসতে অভ্যাস করে ফেলতে পারলে খুব একটা সমস্যা হবে না।’