বার্টির স্বদেশিও যাচ্ছেন না ইউএস ওপেনে

ইউএস ওপেনে খেলবেন না কিরগিওস। করোনার ভয়ে ইউএস ওপেন থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা অ্যাশলে বার্টি। এবার তার মতোই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বদেশি নিক কিরগিওস। ইউএস ওপেনে খেলবেন না তিনি।

কিরগিওসের মুখ থেকেই জানা গেলো, না খেলার মূল কারণ, ‘আমি এবারের ইউএস ওপেনে অংশ নিচ্ছি না। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের মতো বিশ্বসেরা অ্যারেনায় খেলতে না পারাটা আমাকে সত্যিই কষ্ট দিচ্ছে। তবে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার অজি ভক্ত, শত-সহস্রাধিক আমেরিকান যারা করোনায় জীবন হারিয়েছে, তাদের সবার জন্য। এটা আমার সিদ্ধান্ত।’

আয়োজকদের সূচি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই কিরগিওসের। এমনকি ২৫ বছর বয়সী এই তারকা মনে করেন, নিম্ন আয়ের কর্মচারীদের জন্য এই টুর্নামেন্টটি হওয়া খুব জরুরি। তবে সতীর্থ কিছু টেনিস খেলোয়াড়ের সমালোচনা করেছেন কিরগিওস। আর এই সমালোচনা নোভাক জোকোভিচ ও তার প্রদর্শনীমূলক টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়াদের কেন্দ্র করে। কারণ সেখান থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে অনেক, ‘টেনিসের খেলোয়াড়েরা তোমাদের সবাইকে একে অপরের উদ্দেশ্যে কাজ করা উচিত। তোমরা এভাবে টেবিলের ওপর নাচানাচি করতে পারো না। ইউরোপ জুড়ে শুধু অর্থ উপার্জন বা দ্রুত টাকা বানাতে প্রদর্শনীমূলক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারো না। একবারের জন্য হলেও মানুষের জন্য ভাবো, না হলে ভাইরাসটি রোখা সম্ভব নয়।’

উল্লেখ্য, আদ্রিয়া ট্যুর নামে সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছিলেন জোকোভিচ। ইভেন্টটি করোনাকালে হলেও তাতে সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। অথচ টুর্নামেন্ট চলমান অবস্থাতেই করোনা আক্রান্তের খবর মিলতে থাকে একের পর এক। তার পরই বাতিল করে দেওয়া হয় এই টুর্নামেন্ট।