‘যে সকল ব্যক্তির বয়স ৬০ বছরের বেশি, যেমন সাপোর্ট স্টাফ, আম্পায়ার, গ্রাউন্ড স্টাফ এবং যাদের ডায়াবেটিস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের এই কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে’- সংবাদ সংস্থা পিটিআই এসওপির একটি ধারা তুলে ধরে জানিয়েছে, সরকার কোনও নতুন নির্দেশনা জারি না করার আগে এসব ব্যক্তিকে ক্যাম্পের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনায় রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর বাংলা এবং বরোদা। ১৪ বছর পর গত মার্চ মাসে বাংলাকে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে তুলতে বিশাল ভূমিকা রাখেন ৬৫ বছর বয়সী কোচ অরুণ লাল। আর বরোদার কোচ ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ ৬৬ বছর বয়সী ডেভ হোয়াটমোর। এসওপি অনুযায়ী এ দুজন আর কোচ হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
এসওপি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার অরুণ লাল, ‘আমি খুব হতাশ। আমার ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এই নির্দেশিকার কথা জেনে আমি খুব অবাক। যার বয়স ৫৯, সে কোচিং করাতে পারে, তার করোনা হতে পারে না? আমার বয়স ষাটের বেশি বলে ফিট থাকলেও থাকতে পারবো না?’
বাংলার রঞ্জিজয়ী অধিনায়ক সম্বরণ বন্দোপাধ্যায় এই নির্দেশিকা মানা সম্ভব কি না তা নিয়েই সন্দিহান, ‘১০০ পাতার নির্দেশিকা, যার সব মেনে চলা কঠিন। এমনকি কতটা মানা সম্ভব, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। বয়স নয়, কে কতটা সুস্থ, সেটা দেখা দরকার। ৪০ বছরের কেউ তো অসুস্থ থাকতে পারেন, আবার ষাটের বেশি বয়সীরাও ফিট থাকতে পারেন।’