সাবিনার ভাবনায় সাফ আর এসএ গেমস

বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্থার দারুণ ভক্ত বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে অনেকটা তাকেই অনুসরণ করেছেন। ১০ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলা সাবিনা এখনও স্বপ্ন দেখেন, দেশে মেয়েদের ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে। ফিফা ডটকমের সাক্ষাৎকারে আরও অনেক কথাই উঠে এসেছে তার কথায়।

২০১০ সালে মেয়েদের সাফ ফুটবল দিয়েই নিজেকে চিনিয়েছিলেন সাবিনা। তবে এই টুর্নামেন্টের আগেই ভুটানের বিপক্ষে গোল করে নিজের খাতা খুলেছিলেন। এরপর সাফে পেয়েছেন তিন গোল। শুরুর সেই স্মৃতি উঠে এসেছে তার সাক্ষাৎকারে, ‘২০১০ সালের এসএ গেমসেই আমাদের দল প্রথম খেলেছিল। যেটা ছিল প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমাদের অংশগ্রহণ। তাই এটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। এছাড়া সেই বছরই সাফ ফুটবলে দল সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছিল। আমি জানি না, আমি দেশের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ভুটানের বিপক্ষে গোল পেয়েছিলাম কিনা। কারণ সেই দলের সবারই বয়স কম ছিল।’

এর পর ২০১৬ সালের সাফে আসে সর্বোচ্চ সাফল্য, রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৭ ম্যাচে ১৯ গোল করা সাবিনা বলেছেন, ‘এটা আমাদের ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি ছিল। আমরা রানার্স আপ হই। তবে আমরা এখন চিন্তা করছি সাফ কিংবা এসএ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হতে। সফল হলে এটা আমার ক্যারিয়ারের বড় প্রাপ্তি হবে।’

সাবিনা ঘরোয়া ফুটবলেও দাপটের সঙ্গে খেলছেন। শেখ জামাল-মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেছেন। এছাড়া দেশের বাইরে মালদ্বীপ ও ভারতেও মাঠ মাতিয়েছেন। এসব কথা ভাবলে অন্যরকম অনুভূতি-ই কাজ করে সাবিনার, ‘ভারত এই অঞ্চলে শক্তিশালী দল। তাদের ঘরোয়া ফুটবলের মানও বেশ ভালো। আমি সেখানে ছয় গোল করেছিলাম। আসলে সেই সময়টা অবাক করার মতোই।’

একটা সময় মেয়েদের খেলার পথটা মসৃণ ছিল না। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেয়েদের খেলার পথটা অনেক সহজ হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী সাবিনাও মনে করেন, ‘শুরুতে মেয়েদের খেলাটা সহজ ছিল না। লোকজন সহজভাবে নিতো না। কিন্তু এখন অনেকটাই সহজ হয়েছে। আমরা শিখেছি কীভাবে সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। আর সাফল্যের ফলে এসব মোকাবিলা করাটা সহজ করে দিয়েছে।’

খেলার পাশাপাশি সাবিনা কোচিং কোর্সও করে যাচ্ছেন। কারণ অবসরের পর তার লক্ষ্য কোচিং ক্যারিয়ার। সেই লক্ষ্যের কথাও বলেছেন তিনি, ‘অবসরের পর আমি কোচ হতে চাই। এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স করেছি। আশা করছি, সামনের দিকে মেয়েদের অনেক খেলা থাকবে। মেয়েরা আরও খেলার সুযোগ পাবে। যা আমাদের পরবর্তীতে সাফল্য এনে দিবে।’