শুধু সুমনের একার স্বপ্ন ভাঙেনি, এই তালিকায় আছেন নতুন ডাক পাওয়া উইঙ্গার এমএস বাবলু ও মিডফিল্ডার নাজমুল ইসলামও। এছাড়া করোনা পরীক্ষায় ‘পজিটিভ’ হওয়া আরও ৮ অভিজ্ঞ ফুটবলারও ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার আগেই ছিটকে পড়েছেন। এরা হলেন- গোলকিপার শহীদুল আলম ও আনিসুর রহমান জিকো; ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা, সুশান্ত ত্রিপুরা ও বিশ্বনাথ ঘোষ; মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও রবিউল হাসান এবং ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আপাতত ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেলেও তারা ভেঙে পড়েননি। করোনা ‘যুদ্ধে’ জয়ী হয়ে ফিরতে উন্মুখ। সুমন যেমন বাংলা ট্রিবিউনকে বলছেন, ‘আশা ছিল প্রথমবার ডাক পেয়েছি, জাতীয় দলে থেকে অনুশীলন করবো। অভিজ্ঞতা অর্জন করবো। নিজের সেরাটা দিয়ে চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা করে নেবো। কিন্তু করোনার কারণে তা হয়ে উঠলো না। তবে আশা ছাড়নি না। সুস্থ হয়ে আবারও ক্যাম্পে যোগ দিতে চাই। মনোবল ঠিক রেখে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেই জিততে চাই।’
ইংলিশ কোচ জেমি ডে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাহস জোগাচ্ছেন খেলোয়াড়দের। কোচের অনুপ্রেরণা কাজে দিচ্ছে সুমনের, ‘কোচ উৎসাহ দিচ্ছেন। ভরসা দিচ্ছেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে ক্যাম্পে ফেরার জন্য বলে রেখেছেন। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে জাতীয় দলের অনুশীলনে ফিরতে পারবো।’
আরেক নতুন উইঙ্গার বাবলুও আছেন আশায়, ‘করোনার সঙ্গে লড়াই করে আমাদের টিকে থাকতে হবে। আপাতত সব নিয়ম মেনে সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় আছি। জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দিতে পারলে তখন বেশি ভালো লাগবে।’
অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলে খেলছেন গোলকিপার শহীদুল। করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল দেখে তিনি অবাক, ‘ঢাকার আগে চট্টগ্রামের পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছিলাম। কিন্তু একদিনের মধ্যে ঢাকায় পজিটিভ ফল পেলাম। তবে হাল ছাড়ছি না। আবারও ফিরে আসবো ক্যাম্পে, দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে।’
চোট কাটিয়ে লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। কিন্তু তার অপেক্ষা আরও বাড়ালো করোনা। তবে ভেঙে পড়েননি এতটুকুও, ‘অনেকদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে পুরোদমে দলে ফেরার অপেক্ষায় ছিলাম, তবে অপেক্ষা আরও দীর্ঘায়িত হলো। এটি আমার জন্য একটি বড় পরীক্ষা। সবাই আমার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করবেন। আমি বিশ্বাস করি, দ্রুতই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষে আবার দলে ফিরে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবো।’