বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমরা এখনো ই-মেইলের অপেক্ষায় আছি। ওদের ফিরতি জবাব এখনো পাইনি। আশা করি ২/১ দিনের মধ্যে জানতে পারবো। আপনারা জানেন যে, তাদের একটা টাস্ক ফোর্স আছে। এই টাস্ক ফোর্স শ্রীলঙ্কাতে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে, তারা জানলে আমরা পরে জানতে পারবো।’
জালাল ইউনুস আরও বলেছেন, এই মুহূর্তে বিষয়টা কতটুকু জটিল, ‘এটা এমন একটা বিষয় যা ওদের জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এমন না যে শুধু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সিদ্ধান্ত। সুতরাং তাদের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। আমরা এখান থেকে চাপ দিলেও তাতে কাজ হবে না। তারা নিজেরাই জানাবে। তাই অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, দুই-তিনদিনের মধ্যেই জবাব আসতে পারে।’
লঙ্কান সফরকে ঘিরে বিসিবিকে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল এসএলসি। প্রথমত, বাংলাদেশ দলকে অবশ্যই দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, ৬৫ জন নয়, ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফসহ সর্বোচ্চ ৩০ জন লঙ্কা সফরে যেতে পারবেন। তৃতীয়ত, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের কয়েক দফা করোনা টেস্টে অংশ নিতে হবে।
এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কা উত্তর দিতে দেরি করলে সূচি মেলানো কঠিন হবে। সেক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু ভাবছে কিনা বিসিবি? এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুত। আগে যেরকম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল, সেরকম প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছি। ইতিবাচক কোন উত্তর আসলে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুতি নিতে পারবো। সেদিক দিয়ে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না। দুই-একদিন হয়তো এদিক-সেদিক হতে পারে। বেশি দেরি করলে আবার আমাদের হয়তো নতুন করে চিন্তা ভাবনা করতে হবে।’
জানা গেছে, নতুন প্রস্তাবে রয়েছে সাত দিনের আইসোলেশন। এ সময়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, অনুশীলনেও কোনো বাধা থাকবে না। পুরোদমে তিন টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।
এছাড়া বিসিবি চেয়েছিল ৪৫ জন নিয়ে সফরে যেতে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ৪১ জনের বহরের অনুমোদন দিতে পারে। এর বাইরে বাংলাদেশ দলকে একটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। প্রস্তাব অনুযায়ী ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিপক্ষে। ২৪ অক্টোবর শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। ক্যান্ডিতে হবে প্রথম দুই টেস্ট। তৃতীয় ও শেষ টেস্টটি কলম্বোতে।