টাকা জুটবে চার ভাগের একভাগ, ফুটবলাররা হতাশ

Bd football team (2)পেশাদার লিগ কমিটির সঙ্গে সভায় বসে ফুটবলাররা আগেই তাদের পারিশ্রমিকে ছাড় দিয়ে রেখেছিলেন। বিগত মৌসুমের পুরো পারিশ্রমিকের সঙ্গে নতুন চুক্তির ৫০ ভাগ দাবি ছিল তাদের। কিন্তু বৃহস্পতিবারের লিগ কমিটির সভায় খেলোয়াড়দের দাবি মানা হয়নি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগের মৌসুমের চুক্তি অনুযায়ী নতুন মৌসুমে পারিশ্রমিকের মাত্র ২৫ ভাগ দেওয়া হবে। এ খবর জেনে খেলোয়াড়েরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

অনুশীলন করে বাসায় ফিরছিলেন জাতীয় দল ও শেখ রাসেলের গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা। লিগ কমিটির সিদ্ধান্ত শুনে কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। তারপর ক্ষোভের সঙ্গেই বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা হাস্যকর সিদ্ধান্ত। এটা কোন হিসেব অনুযায়ী হয়েছে, বোধগম্য হচ্ছে না। আমার মনে হয় এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু নয়। এতদিন তাহলে তাদের সঙ্গে (লিগ কমিটি) সভা করে কী হলো? এতে কোনওভাবেই খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষা হয়নি।’

আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফেডারেশন কাপ দিয়ে ফুটবল মৌসুম শুরু হবে। এর আগে অক্টোবরে হতে পারে দলবদল। সেখানে নতুন চুক্তির আগে পরিত্যক্ত মৌসুমের ৪৫ ভাগ অর্থ পাবেন খেলোয়াড়েরা। এ প্রসঙ্গে রানার মন্তব্য, ‘খেলা শুরুর আগে আগের পারিশ্রমিকের সম্পূর্ণটা পেলে ভালো হতো। এখন খেলোয়াড়দের চলাই কঠিন হয়ে পড়বে। তারপরও আশার কথা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর আমরা পারিশ্রমিক যা-ই পাই না কেন,আমাদের তো খেলতেই হবে। খেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

জাতীয় দল ও গত প্রিমিয়ার লিগের  চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার তপু বর্মনও অনুশীলন থেকে মাত্রই ক্লাব তাঁবুতে ফিরে খবরটা পেয়েছেন। তারও প্রতিক্রিয়া একইরকম, প্রচণ্ড হতাশ, ‘আমার কাছে এটা হতাশাজনক খবর। কী বলবো বলুন। এখানে তো আমাদের দিকটি বিবেচনা করা হয়নি। আমি খবরটা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়েছি। আমরা তো আগেই পারিশ্রমিকে ছাড় দিয়েছি। সেই ছাড়েরও অর্ধেক পেতে হবে এখন। এখন কী আর করার আছে। সিদ্ধান্ত যা হয়েছে তা-ই মেনে নিতে হবে।’

রুটি-রুজির প্রশ্ন। সিদ্ধান্ত না মেনে ফুটবলারদের উপায় নেই। তবে এটি ফুটবলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেটি নিয়ে শঙ্কিত তপু, ‘পারিশ্রমিকের এই অবস্থা হলে অনেক সময় অনেক খেলোয়াড় তার নিজের সেরাটা দেবে কিনা সংশয় থাকে। তারপরেও আমরা চাই ফুটবল মৌসুম শুরু হোক। অন্তত মাঠে তো খেলা থাকবে।’