ফুটবল দলটি মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের অধীনে চলে। এবার সেখান থেকে খেলার জন্য কোনও তহবিল বরাদ্দ হয়নি বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক মাস ধরে অনুশীলনে থাকা ৩৫ জন দেশি-বিদেশি খেলোয়াড় তাই বিপাকে পড়েছেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোনও কূল-কিনারা পাচ্ছেন না। এখন ফুটবল থেকে মুক্তিযোদ্ধা নামটি মুছে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সবাই। দলটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন হতে যাচ্ছে, এছাড়া বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আর এই সময়ে এসে যদি মুক্তিযোদ্ধার মতো দল ফুটবলে না থাকে তা মেনে নেওয়া যায় না।’
সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে এখনও কোনও সমাধান আসেনি। চলছে বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ। আরিফুল বলেন, ‘আমরা বিভিন্ পর্যায়ে যোগাযোগ করে চলেছি। সরকারি ও বেসরকারি কোনও সহায়তা পেলে তখন হয়তো ফুটবল দল মাঠে নামতে পারবে। এতদিন অনেক কষ্টে দল চলেছে। এখন কোনও সাহায্য-সহযোগিতা না পেলে কী হবে বুঝতে পারছি না।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী শনিবার অবশ্য বলেছেন ,‘মুক্তিযোদ্ধা বিজয়ের মাসে ফেডারেশন কাপে অংশ নেবে না, এটি মেনে নেওয়া যায় না। যে পর্যায়ে কথা বলার দরকার তা আমরা বলবো। তারা যাতে অংশ নেয় সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আশা করছি শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।’