ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ স্থগিত

আগে থেকেই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোয়ারেন্টিন নিয়ে সতর্ক করে আসছিল। ম্যাচ যতই ঘনিয়ে আসছিল ততই উত্তাপ বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ করে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচের সপ্তম মিনিটে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা নিয়ে মাঠে হানা দেয়। কোয়ারেন্টিন শর্ত মানেননি এমন চার খেলোয়াড়কে আটক করার জন্য।

সেই জের ধরে ম্যাচ আর মাঠেই গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবল টুইটার বার্তায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করেছে।

এই বিষয়ে কনবেমল জানিয়েছে এটা ফিফার প্রতিযোগিতা। ম্যাচ অফিসিয়ালরা ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর ম্যাচের ভবিষ্যত নিয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।

ইংল্যান্ড থেকে ব্রাজিলে ফিরতে হলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শর্ত রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবর- ইংলিশ লিগে খেলা আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় তা মানেননি। তা না মেনেই ব্রাজিলের বিপক্ষে স্কোয়াডে ছিলেন। এর মধ্যে তিনজন আবার একাদশে। যে কারণে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ম্যাচ চলাকালেই মাঠে হানা দিয়েছে।

তবে ম্যাচ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি মোটেও খুশি হতে পারেননি। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাকে অনেক দুঃখ দিয়েছে। আমি কাউকে দোষারোপ করতে আসিনি। এটা সবার জন্য একটা উৎসবের ক্ষেত্র হওয়া উচিত ছিল। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের খেলা উপভোগ করার কথা ছিল। আমি চাই আর্জেন্টাইন জনগণ যেন বুঝতে পারে, কোচ হিসেবে নিজের খেলোয়াড়দের রক্ষা আমাকে করতেই হবে।’

আর্জেন্টাইন কোচ দাবি করেছেন, চার ফুটবলারের ব্রাজিল ম্যাচে খেলা নিয়ে আপত্তির কথা তাদের কেউ জানায়নি। কোচের ভাষ্য, ‘কোনও সময় আমাদের জানানো হয়নি যে এরা কেউ খেলতে পারবে না। আমরা ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলাম। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারও তাই চেয়েছে।’