এই উইকেটে নিউজিল্যান্ড ভালো বল করলেও শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত। তাদের টেল এন্ডারকে বধ করা জরুরি ছিল নিউজিল্যান্ডের জন্য। কাজটি করতে পারলে নিউজিল্যান্ডের জন্য টার্গেট হয়তো ২৮০ রানের নিচে থাকত। এই জায়গায় জস বাটলারকে কৃতিত্ব দিতে হবে। বাড়তি ও দ্রুত রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ডকে হতাশায় ডুবিয়ে তাদের ৩১১ রানের টার্গেট সেট করার ব্যাপারে তার অবদান অনেক। তার ইনিংসটিই কাল ইংল্যান্ডের ম্যাচে টিকে থাকা ও পরে জেতার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। তবে এটা অনস্বীকার্য যে ফর্মে থাকা জো রুট ও অ্যালেক্স হেলস চমৎকার শুরু না করলে এবং মাঝে বেন স্টোকসের সময়োপযোগী ইনিংস না হলে ইংল্যান্ডকে বেকায়দায় পড়তে হতো। এই তিন ব্যাটসম্যান সেট হওয়ার পরও তাদের লম্বা সময় খেলতে না দেওয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড বোলাররাও কৃতিত্বের দাবিদার।
কাল মাঠে বইছিল প্রচণ্ড আড়াআড়ি বাতাস। এই বাতাসে দুই দলই অভ্যস্ত হলেও তা লাইন-লেন্থ ঠিক রাখার ব্যাপারে পেস বোলারদের যথেষ্ট ভোগায়। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদেরও বল মিডল অব দ্য ব্যাট খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল। ইনসাইড এজে বোল্ডও হয়েছেন একজন। এটাই বার্তা দিচ্ছিল, ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পিচ আরও স্লো হলে তা নিউজিল্যান্ডকে ভোগাবে।
দ্বিতীয়ার্ধে উইকেট আরও স্লো হয়েছে। পিচে পড়ার পর বলের গতির তারতম্য হতে দেখেছি এবং তার সঙ্গে হঠাৎ-হঠাৎ বাড়তি বাউন্স নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাট করতে দেয়নি। কেন উইলিয়ামসন কোন কারণে এত বড় মাপের ব্যাটসম্যান, তার প্রমাণ রাখতেই এই আনপ্রেডিক্টেবল পিচের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে একদিক থেকে লড়াই করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে ব্যাটসম্যানদের ধীর স্ট্রাইক রেট তাকে চাপে ফেলে দেয়। রস টেলর ও নেইল ব্রুম যথেষ্ট ভালো মানের ব্যাটসম্যান হলেও তাদের ডট বলের সংখ্যা কমাতে হবে, যদি ওপরের সারির দলের সঙ্গে তারা আরও বেশি সফল হতে চান।
আদিল রশিদের সংযোজন ইংল্যান্ড দলের বোলিংয়ে বৈচিত্র এনেছে। তিনি তার নামের প্রতি সুবিচারও করেছেন।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের একদিনের ম্যাচে এ ধরনের উইকেট নিয়ে কেউ তেমন প্রশ্ন তোলে না। তবে আইসিসির তত্ত্বাবধানে কোনও ভেন্যুর প্রথম ম্যাচ এমন ট্রু পেসের উইকেটে এবং দ্বিতীয়ার্ধের বেশ কিছু বল বাড়তি বাউন্স দেখার আশা ব্যাটসম্যান বা দর্শক কখনোই করে না। পিচের আচরণ যদি ব্যাটসম্যানকে দ্বিধায় ফেলে দেয়, তখন আত্মবিশ্বাস বা টাইমিংয়ের উপর নির্ভর করে ব্যাট করা সম্ভব হয় না। এই বাড়তি সুবিধাটুকু উপভোগ করে নিয়ম-কানুন মেনে চলা বোলিং ডিপার্টমেন্ট। গতকাল যেটা উপভোগ করেছে ইংলিশ বোলাররা।