মাহমুদউল্লাহ হলেন বিপিএল সেরা

 

মাহমুদউল্লাহটুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হিসেবে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন ৫ হাজার ইউএস ডলার।

মাহমুদউল্লাহ খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক, সাদামাটা দল নিয়ে অসাধারণ লড়াই করেছেন ২২ গজে। তার নেতৃত্বে খুলনা খেলেছে সেরা চারে। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সেও উজ্জ্বল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট-বল-ফিল্ডিং-অধিনায়কত্ব এই চার বিভাগে দাপটের সঙ্গে পারফরম্যান্স করেছেন। মাহমুদউল্লাহর এই সাফল্যই টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার হিসেবে তাকে এগিয়ে রেখেছে। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার হিসেবে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন ৫ হাজার ইউএস ডলার।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজশাহীর সঙ্গে হেরে ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নটা শেষ হয়ে যায় খুলনার। হেরে যাওয়া ওই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ব্যাট হাতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেছিলেন। রাজশাহীর বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে অধিনায়কের ব্যাটটা ঠিকমতো ক্লিক না করাতে স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান জমা পড়েনি। আর তাইতো রাজশাহীর বিপক্ষে সহজে হার মানতে হয়েছে খুলনাকে।

খুলনাকে সেরা চারে নিয়ে যেতে ব্যাট ও বল হাতে সমান পারফরম্যান্স করেছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে দুই হাফসেঞ্চুরিতে ৩৯৬ রান সংগ্রহ করেন মাহমুদউল্লাহ। এতেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রাহকের তালিকায় ঢুকে পড়েন জাতীয় দলের এই তারকা।

শুধু কি তাই, বল হাতেও দুত্যি ছড়িয়েছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে মাত্র ১২ ইনিংস বল করেছেন, তাতেই তুলে নিয়েছেন ১০টি উইকেট। রাজশাহীর বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচটিতে শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান মাহমুদউল্লাহ। চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষেও একই ধারা অব্যাহত রাখেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ জেতান এই অলরাউন্ডার। এই দুটি ম্যাচই টুর্নামেন্টে এগিয়ে দেয় খুলনাকে।

বাকি পথটুকু ঠিকঠাকভাবে পাড়ি দিয়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠেছিল খুলনা। ঢাকার সঙ্গে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলে হেরে যায় তারা। ফাইনালে উঠার দ্বিতীয় সুযোগ হিসেবে রাজশাহীর সঙ্গে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় খুলনা। কিন্তু ওখানেও হেরে যায় মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে খেলা দলটি।

যদিও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছিলেন, ‘খুব বেশি অতৃপ্তি নেই। সবাই যার যার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কেউই ভাবেনি আমরা এতোদূর পর্যন্ত আসতে পারব।’

/আরআই/