‘এই দিনটার কথা কখনোই ভুলবো না’

মিরাজ-৩২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর। দিনটা নিশ্চিতভাবেই স্মৃতির মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দিনেই যে টেস্ট অভিষেক হয়েছে তার। একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুন্দরতম এই মুহূর্তটা যদি রাঙিয়ে নেওয়া যায় ৫ উইকেট শিকার করে, তাহলে এর চেয়ে ভালো কিছু হয়তো হতে পারে না আর। মিরাজ পেলেন এর সবই। দিনটা তাই ভুলবেন কি করে এই অলরাউন্ডার!

কীর্তির শেষ এখানেই নয়, বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক টেস্টে আবার ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন মিরাজ। মাত্র ১৮ বছর ৩৬১ দিনে টেস্ট অভিষেকে আলো ছড়ানো এই তরুণ দিনটা স্মৃতির খাতায় সাজিয়ে রাখতে চান স্বযত্নে, ‘অনেক ভালো লাগছে। এ দিনটার কথা আমি কখনোই ভুলবো না। আমার সারা জীবন এ ম্যাচটির কথা মনে থাকবে। অভিষেক ম্যাচ, তার ওপর আবার পাঁচ উইকেট পেয়েছি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল, সবার দোয়া ছিল আমার সঙ্গে। এজন্য ভালো হয়েছে।’

স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই রোমাঞ্চিত ছিলেন মিরাজ। একাদশে সুযোগ পেলে কিছু একটা হয়তো করবেন, এমনটা ভেবে রেখেছিলেন তিনি। যদিও এতটা করবেন, সেটা ছিল না তার কল্পনাতেও, ‘আমি কখনো চিন্তাই করিনি পাঁচ উইকেট পাবো। অভিষেকে যেন ভালো কিছু করতে পারি, সেটাই ছিল পরিকল্পনায়। হয়তো ভেবেছিলাম দুই-একটা উইকেট পাবো। ব্যাটিংয়ে ৩০-এর মতো রান করবো।’

সঙ্গে যোগ করলেন, ‘যখন বেশি ভালো হয় তখন প্রত্যাশার বাইরে অনেক কিছু হয়ে যায়। ইংল্যান্ড বড় দল। তাদের বিপক্ষে তাই বড় কোনও স্বপ্ন দেখিনি। চিন্তা ছিল প্রথম ম্যাচে নিজেকে সেট করার জন্য। আস্তে আস্তে জায়গায় বল করে কিভাবে নিজেকে সেট করা যায়, সেই চেষ্টাই করে গেছি। আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছে।’

নিজের প্রথম ওভার শেষ করেই মিরাজ বুঝতে পারেন উইকেটে টার্ন আছে। ওই ওভার শেষে মুশফিকের পরামর্শ মেনে বোলিং করে সাফল্য তুলে এনেছেন তিনি। এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘প্রথম ওভার বোলিং করার পর আমি বুঝতে পারি বল অনেক টার্ন করছে। মুশফিক ভাই আমাকে বারবার বলছিল, স্ট্যাম্পে বল রাখতে। স্ট্যাম্পে বল রাখলে এলবিডাব্লিউ কিংবা বোল্ড হওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রথম ওভারটা বাইরে করছিলাম। ওরা ওই ওভারটা সহজেই খেলছিল। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভার থেকে বুঝতে পারলাম স্ট্যাম্পে বল করলে ফল আসবে। মূলত স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বল করেই সাফল্য পেয়েছি।’

/আরআই/কেআর/