মুশফিকের সেরা দুই

মুশফিকের সেরা দুইবাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৯৪টি টেস্ট খেলেছে। যার মধ্যে মুশফিক খেলেছেন ৪৯টি। অন্যদিকে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে সবচেয়ে বেশি ২৫টি টেস্ট। অন্যসব অধিনায়কের চেয়ে সাফল্যের হারে এগিয়ে মুশফিকই।

বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের খেলা ৪৯টি টেস্টের মধ্যে মুশফিক সেরা দুটি টেস্ট ম্যাচকে নির্বাচন করেছেন। একটি হচ্ছে ইংল্যান্ডের বিপেক্ষ দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। অন্যটি হচ্ছে গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনায় অনুষ্ঠিত টেস্টটি। দুটি ম্যাচের একটিতেও জিতেনি বাংলাদেশ। খুলনায় ড্র করলেও চট্টগ্রামে ২২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপেক্ষ খুলনা টেস্টে ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল মিলে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম উইকেটে ৩১২ রানের জুটি গড়েছিলেন।

বাংলাদেশের ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তান ৬২৮ রান করে মোহাম্মদ হাফিজের ডাবল সেঞ্চুরিতে। বাংলাদেশ ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে ইমরুল-তামিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫৫৫ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। জয়ের জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য  নির্ধারণ হয় ২৬০ রানের। শেষ দিনে ওই রান চেজ করার যথেষ্ট সুযোগ না থাকায় দুই দল ম্যাচটি ড্র মেনে নেয়। মুশফিকের দৃষ্টিতে এই ম্যাচটিও তার ক্যারিয়ারের সেরা একটি ম্যাচ। মুশফিক অবশ্য এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩২ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছিলেন।

তার দ্বিতীয় সেরা ম্যাচ ইংলিশদের বিপক্ষে গতকাল শেষ হওয়া টেস্ট। ওই ম্যাচের বেশিরভাগ সেশনই বাংলাদেশ প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে। জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২২ রানে হার মানতে হয়েছে। ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুকের দৃষ্টিতে এমন রোমাঞ্চকর ম্যাচ তিনি আর কখনওই খেলেননি।

মুশফিকের কাছে ম্যাচ শেষে জানতে চাওয়া হলো এটি তার জীবনের সেরা ম্যাচ কিনা। প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেছেন, ‘সেটাতো অবশ্যই। আমার মনে হয়- না জিততে পারলেও আমার ১১ বছরের ক্যারিয়ারের সেরা টেস্ট এটি। আমার দুটি টেস্ট ম্যাচ সব সময় স্মরণ থাকবে। একটি হচ্ছে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনার ড্র করা ম্যাচটি। যা এখনও এক নম্বরে। অন্যটি আজকের (সোমবার) ম্যাচটি।’

/আরআই/