রাজশাহীর লক্ষ্য ১৪৩

রাজশাহীর লক্ষ্য ১৪৩তামিম ইকবাল ও ক্রিস গেইলের মারমুখি ব্যাটিং দিয়ে শুরু করলেও শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করেছে চিটাগং ভাইকিংস।

বিপিএলের এলিমিনেটরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রাজশাহীকে চমকে দেয় চট্টগ্রাম।ক্রিস গেইলকে দিয়ে ওপেন করায়নি দলটি। ওপেন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও ডোয়াইন স্মিথ।

তবে স্মিথ রাজশাহীকে মানসিকভাবে চমকে দিলেও ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি। শূন্য রানে স্বদেশি কেসরিক উইলিয়ামসের একটি বাড়তি বাউন্সের বলে স্লিপে রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির হতে ক্যাচ দেন।

এই উইকেটের পতনে দলের ওপর প্রভাব পড়তে দেননি ওয়ান ডাউনে নামা ক্রিস গেইল। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ৮.২ ওভারে দুইজনে মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। গেইল যখন মারমুখি মেজাজে ছিলেন তখন তামিম বাজে বল মেরে খেলার নীতি অনুসরণ  করেন। সেট হতে একটু সময় নিয়ে গেইল মারেন পাঁচটি ছক্কা ও দুটি চার। ৩০ বলে ৪৪ রান করার পর জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের একটি স্লোয়ার ডেলিভারিতে তিনি লং অফে ফরহাদ রেজার হাতে ধরা পড়েন।

এরপর ক্রিজে গেইলের স্থান পূরণ করেন শোয়েব মালিক। নিজের ভালো ফর্ম অব্যাহত রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তবে ফরহাদ রেজার বলে কাভারে দাঁড়ানো মিরাজকে তিনি পরাস্ত করতে পারেননি। চেয়েছিলেন লফট করতে কিন্তু বল জমা পড়ে মিরাজের হাতেই। দলকে ১২ বলে ১৪ রান দেন তিনি।

দিনের প্রথম বল খেলা তামিম ইকবাল বিদায় নেন ১৭.২ ওভারে। ততক্ষণে দলের স্কোর ১১৭ রান। কেসরিক উইলিয়ামসের বল ড্রাইভ করে ব্যাটের বাইরের কানায় লাগিয়ে কাভারে সামিত প্যাটেলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। বিদায় নেওয়ার আগে ৪৬ বলে ছয়টি চারে ৫১ রান করেন তিনি।

রানের গতি বাড়ানো ছাড়া আর কোনও কাজ ছিল না পরের ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু এখানেই তাদের প্রত্যাশায় রাশ টেনে ধরেন রাজশাহী ফিল্ডাররা। এনামুল হক বিজয় করেন ১০ বলে ১১। মো. নবীর ওপরও প্রত্যাশা ছিল ভাইকিংসের। কিন্তু সীমানা থেকে করা সাব্বির রহমানের সরাসরি থ্রোতে পাঁচ রানে রান আউট হন নবী। এরপর আব্দুর রাজ্জাক আর রানের খাতা খুলতে পারেননি। সঙ্গে জহুরুল অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে। 

শেষ দিকে উইলিয়ামসের করা ১৯ ওভারে দুই রানেই তিনটি উইকেট হারায় ভাইকিংস। ১১ রানে চার উইকেট নিয়ে কেসরিক উইলিয়ামস ছিলেন সফল বোলার।

/আরএম/এফআইআর/