এক ম্যাচ আগেই চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

সাজানো গোছানো এক সেঞ্চুরি করলেন ওয়ার্নারদক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৫-০ তে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দেশে ফিরে ২-১ এ টেস্ট সিরিজ হার। অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এক ম্যাচ হাতে রেখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ তে ঐতিহাসিক চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজ জিতল তারা।

ক্যানবেরায় মানুকা ওভালে প্রথমে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ, এরপর ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের মারকুটে ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেয় ৫ উইকেটে ৩৭৮ রানের দাপুটে স্কোর।  বিশাল এই লক্ষ্য কিছুটা সময়ের জন্য সম্ভব মনে হলেও অনেক আগেই হারতে হয় নিউজিল্যান্ডকে, ব্যবধানটা শতাধিক। ১১৬ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

ক্যানবেরায় আলোকস্বল্পতার কারণে প্রায় আধা ঘণ্টা পর টস হয়, জিতে ফিল্ডিং নেয় কিউইরা। সিদ্ধান্তটা ফলপ্রসূ করতে পারেনি সফরকারীরা। দলীয় ৬৮ রানে অ্যারন ফিঞ্চকে (১৯) সাজঘরে পাঠানোর পর বোলাররা হয়ে পড়ে অসহায়। ওয়ার্নার ও স্মিথ ১৪৫ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিতে ষষ্ঠ শতক হাঁকিয়ে এক বর্ষপঞ্জিকায় সবচেয়ে বেশি তিন অঙ্কের ঘরে রান করা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান ওয়ার্নার। তিনি পেছনে ফেলে রিকি পন্টিং (২০০৩ ও ২০০৭) ও ম্যাথু হেইডেনকে (২০০৭), তারা দুজন পাঁচটি করে সেঞ্চুরি মেরে এতদিন রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন। ১৪ চার ও ১ ছয়ে ১১৫ বল খেলে ১১৯ রান করেন ওয়ার্নার।

এরপর একটু দ্রুত স্মিথ ফিরেছেন। ৭৬ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৭২ রানে আউট তিনি। অধিনায়ক সাজঘরে গেলে হেড ও মার্শ ৭১ রানের জুটি গড়ে হাল ধরেন। হেড মাত্র ৩২ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৭ রানের ঝড় তুলে আউট হলে মার্শ আরও আগ্রাসী হন। ৪০ বলে ২টি চার ও৭টি ছয়ে ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

জবাব দিতে নেমে জিমি নিশাম ও কেন উইলিয়ামসনের জুটি ছাড়া আর কেউ সম্ভাবনা জাগায়নি। ১২৫ রানের জুটি গড়েন তারা। ৮১ রানে উইলিয়ামসন ও ৭৪ রানে আউট হন নিশাম। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মার্টিন গাপটিল ৪৫ রানে আউট হন। প্যাট কুমিন্স সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ২৬২ রানে গুটিয়ে দিতে সবচেয়ে ভালো অবদান রাখেন। মিচেল স্টার্ক, জোশ হ্যাজলউড ও জেমস ফকনার দুটি করে উইকেট নেন।

/এফএইচএম/