পাঠানো সেই তালিকায় বিশেষ করে নজর দেওয়া হয়েছে রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়ে। যেখানে আগে থেকেই নতুন এই গঠনতন্ত্রে একমত ছিল না তারা। তাই এর পরিবর্তনের পক্ষে বেশ কিছু সুপারিশও করেছে বিসিসিআই। একই সঙ্গে আইসিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা খর্ব করারও বেশ কিছু সুপারিশ করেছে ভারতীয় বোর্ড।
শশাঙ্ক মনোহর হঠাৎ করেই নিজের মেয়াদ শেষের আগে চলে যাওয়ায় এখনও এর করণীয় ঠিক করতে পারেনি আইসিসি। তাই সুপারিশে তারা এই বিষয়টিকেও প্রাধান্য দিয়েছে। আইসিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমতা সংক্রান্ত সুপারিশগুলো হলো-
১. আগের মতো স্বাধীন চেয়ারম্যান কোনও গোপন ব্যালটে নির্বাচিত হবেন না। স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে প্রাধান্য দিয়েই আইসিসির অনুচ্ছেদে সংযোজন করা উচিত।
২. কোনও চেয়ারম্যান তার মেয়াদের আগেই সরে গেলে নতুন চেয়ারম্যান সেই মেয়াদেই দায়িত্ব প্রাপ্ত হবেন। তাকে নতুন কোনও মেয়াদে রাখা হবে না।
৩. চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত বা পূর্ণকালীন হলেও বোর্ড সভায় তার ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না। কারণ এই পদ স্বাধীন আর বোর্ড সভা সদস্যদের দ্বারাই পরিচালিত।
৪. প্রধান নির্বাহী সব সময় বোর্ডের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন, চেয়ারম্যানের কাছে নয়।
৫. চেয়ারম্যানের কোনও আরোপিত ক্ষমতা থাকবে না। এই ক্ষমতা থাকবে শুধু প্রধান নির্বাহী ও আইসিসি বোর্ডের।
৬. চেয়ারম্যান কোনও সভা ডাকতে পারবেন না। বোর্ডই এর ক্ষমতা রাখতে পারবেন।
অবশ্য এর আগে ফেব্রুয়ারিতে গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবগুলো নীতিগতভাবে পাশ হলেও এপ্রিলের সভায় সেগুলো আলাদাভাবে পাশ করাতে ভোটের প্রয়োজন হবে। তখনই এর চূড়ান্ত রূপ বুঝা যাবে।–ক্রিকইনফো।
/এফআইআর/