এই দ্বীপরাষ্ট্রেরই কৃষিভিত্তিক শহর হচ্ছে ডাম্বুলা। অন্যশহরগুলো থেকে এই শহরটি খানিকটা আলাদা। শ্রীলঙ্কার মানুষদের কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে সমাদৃত ডাম্বুলার শহর। অন্যসব শহরের চেয়ে এখানে পর্যটক খানিকটা কম থাকলেও একেবারে নগণ্য নয়। তারপরও কোনও অংশে ডাম্বুলার সৌন্দর্যকে ছোট করা যাবে না।
রানগিরির মাঠে বড় কোনও গ্যালারি নেই। একটাই কেবল আছে, সেটা প্রেসবক্স প্রান্তে। প্রায় আটতলা সমান উঁচু ভবনে প্রেসবক্স, ভারাভাষ্য কক্ষ, খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম, ম্যাচ অফিসিয়ালদের রুম এবং কিছু দর্শকদের খেলা দেখার জন্যও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া মাঠের চারপাশে একতলা করে হলুদ-সবুজ রঙের গ্যালারি দাঁড়িয়ে আছে।
পরিসংখ্যানেও এই ভেন্যু বেশ সমৃদ্ধ। যদিও এখানে এখন পর্যন্ত কোনও টেস্ট ম্যাচ হয়নি। প্রায় ১৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে ২০০০ সালে।
২০০১ সালে ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে স্টেডিয়ামটির শুভ সূচনা হয়। ২০০১-২০১৭ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৮টি একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় এই ভেন্যুতে। বাংলাদেশ এই ভেন্যুতে তিনটি ম্যাচ খেলেছে। যার সবগুলোই ২০১০ সালের এশিয়া কাপে।
যদিও রানগিরি বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত মনে রাখার মতো কোনও কিছু উপহার দিতে পারেনি। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের পর ভারতের বিপক্ষেও ৩ উইকেটে হার মেনেছিল বাংলাদেশ।
ডাম্বুলার এই ভেন্যুতে দলীয় সর্বোচ্চ রান পাকিস্তান দলের। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়া কাপে শহীদ আফ্রিদির ১২৪ রানের ওপর ভর করে ৩৮৫ রান করে পাকিস্তান দল। ম্যাচটিতে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে বুম বুম আফ্রিদি ৬০ বলে ১৭ চার ও ৪ ছক্কায় সেঞ্চুরি তুলে নেন। ওই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা করেছিল ৩১২। যা রানগিরির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এই ভেন্যুতে অন্যদের ছাপিয়ে ব্যক্তিগত সর্বমোট রান রয়েছে লঙ্কান লিজেন্ড মাহেলা জয়াবর্ধনের। ১১৪৮ রান রয়েছে এই আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে।
রানগিরিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক আরেক লঙ্কান লিজেন্ড মুত্তিয়া মুরালিধরন। তার দখলে রয়েছে ৪২টি উইকেট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পারভেজ মারুফ (২৩) ও তৃতীয় স্থানে লাসিথ মালিঙ্গা (২১)। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং ফিগারের মালিক অস্ট্রেলিয়ার জন হ্যাস্টিংস। ৪৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। এছাড়া যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি মাহেলা জয়াবর্ধনে ও উপুল থারাঙ্গার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০০৯ সালে এই মাঠেই ২০২ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
অভিশপ্ত এই ভেন্যুতে ভাগ্য বদলাতে মাশরাফিদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। মাশরাফিরা অবশ্য লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন পবিত্র স্থানেই পরিসংখ্যানটা পাল্টে দিতে আশাবাদী। ২৫ ও ২৮ মার্চ শেষেই বুঝা যাবে রানগিরিতে মুখোমুখি লড়াইয়ের ব্যবধানটা ‘৫’ নাকি ৩-২ হবে।
/আরআই/এফআইআর/