কলাবাগানের রোমাঞ্চকর জয়

ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা মুক্তার আলীশফিউল হায়েত-মঈনুল ইসলাম জমিয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচ। মিডল অর্ডারে তাদের জুটি ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের জয়ের পথ তৈরি করে দিলেও গন্তব্যে পারেনি পৌঁছাতে। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি কলাবাগান ক্রীড়া চক্র জিতে নেয় ১০ রানে। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে কলাবাগানের করা ২৫৯ রানের জবাবে ভিক্টোরিয়া ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ২৪৯ রান।

অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ব্যাট হাতে ব্যর্থ। টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে কলাবাগান অধিনায়ক ১০ রান করে বোল্ড হয়ে যান মঈনুল ইসলামের বলে। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ওপেনার মেহরাব হোসেন জুনিয়র অবশ্য অভিজ্ঞ তুষার ইমরানকে সঙ্গে নিয়ে কাটিয়ে ওঠেন বিপর্যয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা গড়েন ৯৬ রানের জুটি। দুজনই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত রোশেন সিলভা এই জুটি ভাঙেন মেহরাব জুনিয়রকে ফিরিয়ে। আউট হওয়ার আগে এই ওপেনার ১০৮ বলে খেলেন ৬৩ রানের কার্যকরী ইনিংস। আর তুষার করেন ৫৬ রান।

যদিও কলাবাগানের স্কোর আড়াই শ পেরিয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান তাসামুল হক ও মুক্তার আলীর। শেষ দিকে ভিক্টোরিয়ার বোলারদের ওপর ঝড় তুলেন এই দুই ব্যাটসম্যান, বিশেষ করে মুক্তার আলী। ২৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন তিনি হার না মানা ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস। আর তাসামুল যোগ করেন ৪৪ রান।

২৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভিক্টোরিয়া। ১ রান করে ফিরে যান ওপেনার আবু সায়েম। অন্য ওপেনার নাসিরুদ্দিন ফারুক হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে খেলেন ৫৮ রান। যদিও মিডল অর্ডারের ধসে হারটা সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল ভিক্টোরিয়ার। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ম্যাচ জমিয়ে দেন শফিউল ও মঈনুল। ১০৯ রানের জুটি গড়ে ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের মোড়। জয়ের দিকেও এগোচ্ছিল ভিক্টোরিয়া, কিন্তু শফিউলের আউটে আবার এলোমেলো হয়ে যায় সব। ৬৪ রান করে তিনি আউট হওয়ার পর ৫৭ বলে ৭৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মঈনুলও। ভিক্টোরিয়ার জয়ের স্বপ্নটাও শেষ হয়ে যায় তখনই। শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা চালালেও ১০ রানের রোমাঞ্চকর জয় পায় কলাবাগান।

ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সফল মুক্তার। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে পান ২ উইকেট। এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের পর ম্যাচসেরার পুরস্কারটা হাতে না উঠলে কী হয়!

/কেআর/