গত বছর জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেললেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি আশরাফুল, ৬ ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে করেছিলেন মাত্র ১২৩ রান।
চার বছর পর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে লিগে ফিরেছেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। এই প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বশেষ খেলেছিলেন ২০১৩ সালে, বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার ঠিক আগে। এবারের লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেললেও হাফসেঞ্চুরির দেখা পাননি। এই তিন ম্যাচে তার মোট রান মাত্র ৬২, যার মধ্যে আছে মোহামেডানের বিপক্ষে ৪৬ রানের আক্ষেপভরা ইনিংস।
লিগের শুরুটা ভালো না হলেও আশরাফুলের দৃঢ় বিশ্বাস, তার ব্যাট থেকে বড় ইনিংস আসা শুধুই সময়ের ব্যাপার। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় লিগে বড় রান পাইনি, এখানেও এখন পর্যন্ত পাইনি। তবে এখনও অনেক সময় আছে। সুপার লিগের আগে ৮টা ম্যাচ বাকি। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি বড় ইনিংস পেয়ে যাব। একটি বড় ইনিংস পেলেই নিয়মিত রান পাব বলে আশা করছি।’
মোহামেডানের বিপক্ষে ইনিংসটা আরও বড় করতে না পারার আক্ষেপ অবশ্য লুকাতে পারেননি আশরাফুল, ‘এখনও বড় রান করতে পারিনি। বিশেষ করে মোহামেডান ম্যাচে বড় ইনিংস মিস করেছি। সেদিন ভালো সুযোগ ছিল।’
অধিনায়কত্ব কেমন উপভোগ করছেন প্রশ্নে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘দারুণ উপভোগ করছি। মজা লাগছে অনেক দিন পর অধিনায়কত্ব করতে।’
গত শুক্রবার ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে জিতেছে কলাবাগান। আশরাফুলের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বে তার দল জয় পেয়েছে ১০ রানে। প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর এটাই কলাবাগানের প্রথম জয়। যে জয় নিয়ে আশরাফুলের উচ্ছ্বাসভরা মন্তব্য, ‘দারুণ রোমাঞ্চকর ম্যাচ হয়েছে, জিততে পেরে ভালো লাগছে।’ তিনি নিজে অবশ্য ওপেনিংয়ে নেমে আউট হয়ে গেছেন মাত্র ১০ রান করে। এই ব্যর্থতা নিয়ে আশরাফুলের ব্যাখ্যা, ‘উইকেট শুরুতে তেমন ভালো ছিল না। বল উল্টা-পাল্টা মুভ করছিল, তাই পারিনি।’
/আরআই/এএআর/