ফ্ল্যানাগান আরও বলেছেন, ক্রিকেটকে কখনও সন্ত্রাসীদের কাছে হার মেনে নেওয়া উচিত নয়। তার এই বক্তেব্যের পেছনে রয়েছে নিজের অভিজ্ঞতা। কী সেই অভিজ্ঞতা? ফ্ল্যানাগান সেটা বললেন এভাবেই, ‘সন্ত্রাসীদের কোনও সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না। আমার অভিজ্ঞতা বলে ক্রীড়া ইভেন্ট দিয়েই সন্ত্রাসবাদ ও বৈরিতার প্রতি ইতিবাচক জবাব দেওয়া যেতে পারে। আমরা এরকম দেখেছি দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর প্রথমবার দেখেছি আয়ারল্যান্ডে।’
ম্যানচেস্টার ঘটনার পরই ব্রিটেনে সর্বোচ্চ মাত্রার ঝুঁকির হুঁশিয়ারি রয়েছে। ঘটনার পরই পুরো দেশটিতে সামরিক সদস্য নামানো হয়েছে। আর এই ইংল্যান্ডেই একসময় শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন ফ্ল্যানাগান। তার মতে আইসিসি ও ইসিবি এ নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গেই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে দলগুলোর যাত্রায় কোনও বাধা সৃষ্টি না হয়। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার এই আত্মবিশ্বাস আছে আমরা সন্ত্রাসীদের কাছে হার মানবো না। আমাদের জনগণের কাছে এটাই প্রত্যাশা থাকবে ,তারা যেন আমাদের ম্যাচগুলো দেখতে আসেন।’
এসময় নিরাপত্তার কারণে সামান্য দুর্গতি ও ঝামেলা মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইসিসির এই কর্মকর্তা।
অবশ্য ম্যানচেস্টার ঘটনার পর আইসিসির কাছে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু জানায়নি অংশ নেওয়া ৮টি দেশ। যথাসময়েই নির্বিঘ্নে অনুশীলন চলছে। খেলোয়াড়দের চলাচলে কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করা না হলেও তাদের নিরাপদ স্থানেই থাকতে বলা হয়েছে।
/এফআইআর/