পাকিস্তানকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ

উইকেট নেওয়ার পর তাসকিনের উল্লাস৩৪২ রানের টার্গেট দিয়ে পাকিস্তানকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশের বোলাররা। ৪৩ ওভারে ২৫২ রানে তাদের ৮ উইকেট তুলে নিয়েছে মাশরাফি-সাকিবরা।

রানের পাহাড়ে চড়তে গিয়ে পাকিস্তান ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায়। তাসকিন আহমেদের বলে মাত্র ৮ রানে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ হন পাকিস্তানি ওপেনার। পরের ওভারে মাশরাফি মুর্তজা পান দ্বিতীয় উইকেট। এবারও মুশফিক গ্লাভসবন্দি করেন বাবর আজমকে (১)।

আহমেদ শেহজাদ ও মোহাম্মদ হাফিজ তাদের ব্যাটিং লাইনআপকে কিছুটা মেরামত করতে সফল হন। ৫৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এ শক্ত জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ৪৪ রানে শেহজাদকে বোল্ড করেন তিনি।

এর পর শোয়েব মালিককে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান হাফিজ। ৭৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। তবে হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি হাফিজ। ৪৯ রানে তাকে ক্রিজ ছাড়া করেন শফিউল ইসলাম। মোসাদ্দেক হোসেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে ফেরালে পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে বাংলাদেশ।  বাংলাদেশের বোলারদের সামনে শক্ত প্রতিরোধ গড়া শোয়েব মালিক সাজঘরে ফেরেন ৭২ রান করে। তাকে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানান মেহেদী হাসান মিরাজ। কয়েক ওভার যেতেই সাদাব খান রান আউট হন। পরের ওভারে মিরাজ ফেরান ইমাদ ওয়াসিমকে (৪৫)।

এর আগে টস জিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং অনুশীলন করে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শনিবার ৯ উইকেটে ৩৪১ রান করেছে তারা।

বার্মিংহামের এজবাস্টনে শুরুটা হোঁচট খায় বাংলাদেশ। জুনাইদ খানের বলে মাত্র ১৯ রানে সৌম্য সরকার বাবর আজমের ক্যাচ হন। এর পর ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় উইকেটে ১৪২ রানের শক্তিশালী জুটি গড়েন তারা।

হাফসেঞ্চুরি পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমরুল। ৬২ বলে ৮ চারে ৬১ রানে সাদাব খানের শিকার তিনি। তবে তামিম অপর প্রান্তে ঝড় অব্যাহত রেখেছিলেন।

মুশফিকের সঙ্গে মাত্র ৪০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ে ফিরতে হয় তাকে। সাদাব তাকে ফেরান। জুনাইদের ক্যাচ হওয়ার আগে তামিম ৯৩ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ১০২ রান করেন।

মুশফিক ৩টি করে চার ও ছয়ে হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৫ বলে ৪৬ রানে তিনি জুনাইদের শিকার হলে দুর্বার রানের গতি কিছুটা কমে যায়।

হাসান আলী তার এক ওভারে মাহমুদউল্লাহ (২৯) ও সাকিব আল হাসানকে (২৩) ফেরালে পরের ব্যাটসম্যানরা বড় অবদান রাখতে পারেনি। মোসাদ্দেক ১৫ বলে ২৬ রানের ছোট ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

পাকিস্তানের জুনাইদ খান তার শেষ ২ ওভারে আরও দুটি উইকেট নিয়ে দলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ৯ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। দুটি করে পান হাসান ও সাদাব।

/এফএইচএম/