তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে বললেন মাশরাফি

মাশরাফি-২আবারও ব্যর্থ সৌম্য সরকার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এই ওপেনারের সর্বোচ্চ রান ২৮ হলেও সবশেষ তিন ম্যাচে তার ইনিংসগুলো যথাক্রমে- ৩, ৩, ০! ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি হলেও নিজেকে ঠিক মেলে ধরতে পারেননি সাব্বির রহমানও। ভারতের বিপক্ষে আউট হয়েছেন ১৯ রানে। ব্যাটিংয়ে মোসাদ্দেক হোসেনও ছড়াতে পারেননি আলো। তাই সেমিফাইনাল থেকে বাংলাদেশের বিদায়ের পর আঙুল উঠেছে তরুণ এই ক্রিকেটারদের ওপর। যদিও মাশরাফির ছায়ার নিচেই আছেন তারা। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আস্থা রাখছেন তরুণদের ওপর।

ওপেনিংয়ে নেমে শুরুতে আউট হয়ে দলের চাপ বাড়িয়ে গেছেন সৌম্য গোটা টুর্নামেন্টেই। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আউট হয়েছেন তো রানের খাতা খোলার আগেই! তার মতো দলের তরুণ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কিনা, এই প্রশ্ন উঠেছিল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। যদিও মাশরাফি বলেছেন তাদের পক্ষেই কথা, ‘ভালো না করলে বাদ পড়বে, এটা আসলে কোনও কথা নয়। আমাদের দেশে যারা ভালো করছে গত কয়েক বছর, তারাই কিন্তু এই দলে। তাদের বাইরে আর ক’জন ভালো আছে, সেটাও খুঁজে বের করা দরকার। একই সঙ্গে এটাও বলব দলে যারা আছে, তাদেরও ফর্মে ফেরাটা জরুরি।’

দলে বদলেরও বিপক্ষে মাশরাফি, ‘দলে যারা আছে, তারা প্রত্যেকেই তিন-চার বছর ধরে খেলছে। এখন আবার অন্য কাউকে এনে সেট করা অতটা সহজ কাজ নয়। তাই আমার মনে হয় ক্রিকেট যারা বোঝেন, তারা অবশ্যই বলবেন এদের সুযোগ দেওয়ার কথা। এদের ওপর আস্থা রাখলে সামনের বিশ্বকাপে ভালো করবে।’

দলে এখন যারা তরুণ ক্রিকেটার আছেন, তাদের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করার কথাও জানিয়ে রাখলেন তিনি, ‘তরুণ যারা আছে, তারা প্রত্যেকেই ভালো খেলেছে শ্রীলঙ্কা সিরিজ সফর পর্যন্ত। এমনকি আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজেও ভালো পারফরম করেছে। দুর্ভাগ্যবশত পারেনি এখানে। শারীরিক কিংবা দক্ষতার দিক থেকে ভালো করলেও মানসিকভাবে তারা পিছিয়ে ছিল এই টুর্নামেন্টে। এরা যেহেতু তিন-চার বছর ধরে খেলছে, তাই এদের ওপরই আস্থা রেখে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা উচিত।’

সব মিলিয়ে সাফল্যের পথে আবারও মানসিকতার উন্নতির ওপর জোর দিলেন মাশরাফি, ‘২০১৫ সালেও (বিশ্বকাপে) আমরা নকআউট খেলেছি, এবারও আমরা নকআউট খেলেছি। আপনি যদি দুটো ম্যাচের দিকে তাকান, দেখবেন আমরা প্রায় একই রকম ক্রিকেট খেলেছি। আগেও আমি বলেছি, এই ধরনের ম্যাচের জন্য আমাদের মানসিকভাবে তৈরি হতে হবে।’

/কেআর/