ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু করেছিল পাকিস্তান। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠে কী চমৎকারভাবেই না ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সরফরাজরা। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিদায় করে দেওয়ার পর সেমিফাইনালে হারায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে, এরপর ফাইনালে ভারত-বধ। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার গল্প শোনালেন সরফরাজ ফাইনাল জয়ের পর, ‘(গ্রুপ পর্বে) ভারতের বিপক্ষে হারের পর আমি ছেলেদের বলেছিলাম, টুর্নামেন্ট এখনও শেষ হয়ে যায়নি আমাদের। এরপর আমরা দারুণ খেলেছি। আর এখন আমরা ফাইনাল জিতে নিলাম।’
এই টুর্নামেন্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ফখর জামানের। আগের দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা এই ওপেনার ফাইনালে করেছেন সেঞ্চুরি। তার কথা আলাদা করে না বললে কী হয়! সরফরাজ প্রশংসায় ভাসালেন ফখরকে, ‘ও আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। জীবনের প্রথম আইসিসি ইভেন্টে ফখর খেলেছে চ্যাম্পিয়নের মতো। ও পাকিস্তানের গ্রেট খেলোয়াড়ের একজন হতে পারে।’
গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছে পাকিস্তান। ফাইনালে যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানি বোলাররা। শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব তাই বোলারদেরই বেশি দিলেন পাকিস্তানি অধিনায়ক, ‘তরুণ একটা দল নিয়ে এসেছিলাম আমরা, পুরো কৃতিত্ব পাবে দলের খেলোয়াড়রা, বিশেষ করে বোলাররা। (মোহাম্মদ) আমির, হাসান আলী, শাদাব খান, জুনাইদ (খান), (মোহাম্মদ) হাফিজ- প্রত্যেকেই অসাধারণ বোলিং করেছে।’
শিরোপা জয়ের মন্ত্রটাও জানিয়ে গেছেন কথার শেষ অংশে, ‘আমাদের তো হারানোর কিছু ছিল না। সেভাবেই খেলেছি, আর আমরাই এখন চ্যাম্পিয়ন।’ ক্রিকইনফো
/কেআর/