আগামী ৩০ জুন খুলনার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের মেয়ে তাসনিম ইসলাম লিসার সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধবেন নুরুল হাসান। ‘এলিজিবল ব্যাচেলর’ নুরুল প্রবেশ করবেন দাম্পত্য জীবনে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে বাগদান হয় নুরুল ও তাসনিমের। এরপর ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডে ৫০ দিনের সফর শেষ করেই জীবনের ‘দ্বিতীয় ইনিংস’ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। আগামী ৩০ জুন খুলনা ক্লাবে হবে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।
জীবনের বাঁক বদলের মুহূর্তে ‘ব্যাচেলর’ নুরুল কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। শুধু এটুকুই বুঝতে পারছেন, বিয়ের পর দায়িত্ব যাবে বেড়ে। ‘বাংলা ট্রিবিউনকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আসলে অন্যভাবে কিছু ভাবছি না। স্বাভাবিকভাবেই দেখছি সব কিছু। নতুন কিছু করতে যাচ্ছি কিংবা জীবন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, সত্যি কথা বলতে সেভাবে ভেবে দেখিনি।’
অন্য সব কিছু বাদ দিলে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঠিকই বুঝতে পারছেন ব্যাচেলর জীবনের শেষ ঈদ তার এবার, ‘আমার ব্যাচেলর জীবনের শেষ ঈদ এটা। পরের ঈদটা যখন আসবে, তখন আমি ডাবল থাকব। তাই এই ঈদটা নিজের মতো করেই কাটাব।’
মুখে বললেও নুরুল ঈদটা নিজের মতো করে কাটাতে পারবেন আর কই! ঈদের দুইদিন পরই আরেক আনন্দ তাদের পরিবারে। ইতিমধ্যেই বিয়ের নানা আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে খুলনার দৌলতপুরের কাজী ভবনে, ‘ঈদের আগেই আমাদের বাসাতে ঈদ শুরু হয়ে গেছে। আত্মীয়-স্বজন এবং কাছের বন্ধু-বান্ধব সবার মধ্যেই উৎসব ভাব চলে এসেছে। ৩০ তারিখ পর্যন্ত এমন উৎসব চলবে।’
দাম্পত্য জীবন শুরুর আগে ‘দুই’ জীবনের পার্থক্যটা নির্ণয় করলেন এভাবে, ‘বিয়ের পর দায়িত্ব বোধের বিষয়টি আরও বাড়বে। এটা তো এমনিতেই চলে আসে। সত্যি কথা বলতে আসলে বুঝছি না কী হবে (হাসি)। সামনে কি কোনও ভীতিকর কিছু আছে, নাকি আগের মতোই জীবন-যাপন করতে পারব।’
/আরআই/কেআর/