‘মুশফিককে কষ্ট দিতে চাইনি’

মুশফিকুর রহিমকয়েক সপ্তাহ আগে মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ সহ বেশ কিছু নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন ওমেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও বরিশাল বুলসের কর্ণধার এমএ আউয়াল চৌধুরী। ‘বিতর্কিত’ ওই ঘটনার বিষয়টি মুশফিক জানিয়েছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। তবে প্রায় দুই সপ্তাহ পর এ ব্যাপারে প্রথমবার মুখ খুলেছেন এমএ আউয়াল। মুশফিককে কষ্ট দেওয়ার কোনও লক্ষ্য ছিল না বলে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

বরিশাল ছেড়ে মুশফিক যোগ দিয়েছেন রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হুট করে অন্য দলে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় রাগে এমন মন্তব্য করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এমএ আউয়াল, 'আমি নিজেও একজন খেলোয়াড় ছিলাম, তাই খেলেয়োড়দের আমিও ভালবাসি। যেহেতু হঠাৎ করে শুনলাম মুশফিক চলে যাবে, তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে আমার নিজের কাছে খারাপ লাগলো; আমাকে না বলে চলে যাবে? তখন আমি ওই কথা বলেছিলাম।’ যদিও ওই ধরনের মন্তব্য করা যে ঠিক হয়নি, সেটা খুব ভালো করে বুঝতে পারছেন। তাই দুঃখ প্রকাশও করলেন তিনি, ‘ওকে কষ্ট দেয়ার কোনও লক্ষ্য ছিল না আমার। বিষয়টি আমার কাছেও খারাপ লেগেছে, আমি দুঃখিত।’

এমএ আউয়ালের মন্তব্যের পর মুশফিকের অভিযোগের ভিত্তিতে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিষয়টি ‘গুরুত্বসহকারে’ দেখবেল বলে জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। তিনি এখন ঘটনাটিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ অ্যাখায়িত করে বললেন, ‘একটা মন্তব্য নিয়ে বুলু ভাইয়ের (এমএ আউয়াল) সঙ্গে মুশফিকের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মুশফিকও কষ্ট পেয়েছিল। এ ব্যাপারে আমরা গভর্নিং কাউন্সিল থেকে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমাদের চিঠির উত্তরও দিয়েছেন তিনি। ইস্যুটা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি এবং মুশফিকের সঙ্গেও বসেছি। এ ব্যাপারে উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন মল্লিক, ‘এটা সম্পূর্ণই ভুল বোঝাবুঝি। উনি আসলে কিছু না বুঝেই বলেছেন। অনাকাঙ্খিতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে। মুশফিকও স্পোর্টিংলি নিয়েছে। তাই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।'

তবে এমন ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে, এজন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দায়িত্ব নিয়ে কথা বলার পরামর্শ মল্লিকের, ‘ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিরা নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলে। তাহলে আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।’

/আরআই/কেআর/