হাসপাতালে থাকতে হয়েছে ফিল্যান্ডারকে

ভারনন ফিল্যান্ডারভাইরাস সংক্রমণে ওভাল টেস্টে একাদশে তার থাকাটা পড়ে গিয়েছিল সংশয়ে। যদিও আত্মবিশ্বাসী ভারনন ফিল্যান্ডার ‘ফিট’ দাবি করেন নিজেকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে মাঠে নেমে বল হাতে আগুনও ঝরালেন তিনি। কিন্তু শরীরের সঙ্গে আর পেরে উঠলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রায় পুরোটা সময় তাকে কাটাতে হয় মাঠের বাইরে। পেটের সমস্যা সন্ধ্যার পর এতটাই জটিল হয়ে উঠেছিল যে, শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় ফিল্যান্ডারকে। সারারাত এই পেসারকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রোটিয়া দলের ম্যানেজার মোহাম্মদ মুসাজি।

শুক্রবার রাত হাসপাতালে কাটালেও আজ (শনিবার) ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিনে ফিল্যান্ডারকে মাঠে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৫ ওভার বোলিং করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল এই পেসারকে। ব্যাটিংও করতে পারেনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে। ইংল্যান্ডে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে যেভাবে অবদান রাখছেন, তাতে ওভাল টেস্টে বিপর্যস্ত প্রোটিয়াদের তাকে ভীষণ দরকার। ১২৬ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে বসা প্রোটিয়ারা আজ তাকে মাঠে পেলে ব্যাটিং তো বটেই ইংল্যান্ডকে চেপে ধরতে পারবে দ্বিতীয় ইনিংসে।

প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভারে ২ উইকেট পেয়েছেন ফিল্যান্ডার। যদিও কয়েক স্পেলে বোলিং করতে হয়েছে তাকে ভাইরাস সংক্রমণের কারণে। শেষ পর্যন্ত শরীরের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে না উঠলে মাঠ ছাড়তে হয় এই পেসারকে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হলে রাতে ওখানেই থাকতে হয় ফিল্যান্ডারকে। টিম ম্যানেজার মুসাজি তার শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘ভাইরাস সংক্রমণে ফিল্যান্ডারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সারারাত তাকে থাকতে হয়েছে হাসপাতালে। সকালে (হাসপাতাল থেকে) ছাড়া পাওয়ার পর সে চলতি ম্যাচে খেলার জন্য মুখিয়ে আছে।’ ক্রিকইনফো, এএনআই

/কেআর/