এসে গেছেন রামানায়েকে

চম্পাকা রামানায়েকেবাংলাদেশের পেসারদের আরও ধারালো করতে শ্রীলঙ্কার সাবেক ক্রিকেটার চম্পাকা রামানায়েকে দুই বছরের চুক্তি করেছেন বিসিবির সঙ্গে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে নেমেই সোজা চলে যান হোটেলে। ওখানে বিশ্রাম নিয়ে দুপুরে চলে আসেন মিরপুর স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তখন ছিলেন অনুশীলন ম্যাচ খেলতে ব্যস্ত। মূলত হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের বোলারদের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সেই সঙ্গে পুরো দেশ ঘুরে তৃণমূল খেলোয়াড়দের মধ্য থেকে প্রতিভাবান ক্রিকেটার খুঁজে বের করে তাদের পরিচর্যা করবেন।

বিসিবির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পরই বোঝা যাচ্ছিল তিনি আসছেন বাংলাদেশে। অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পা রাখেন রামানায়েকে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তিনি বাংলাদেশের কোচ হয়ে এলেন। ২০১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে পেস আক্রমণ আরও ধারালো করতে চায় বাংলাদেশ। কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে রামানায়েকেকে যোগ করাটা সেই কারণেই। আপাতত তার চুক্তি ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

এর আগে ২০০৮ সালে বোলিং কোচ হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। প্রায় দুই বছর বাংলাদেশের একাডেমি দলের সঙ্গে কাজ করার পথে পেয়েছেন রুবেল হোসেন ও শফিউল ইসলামকে। মাশরাফিও ছিলেন তারই শিষ্য।

বৃহস্পতিবার সীমানায় দাঁড়িয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, কোর্টনি ওয়ালশ ও মারিও ভিল্লাভারায়ন যখন শিষ্যদের অনুশীলন দেখছিলেন, তাদের সঙ্গে যোগ দেন রামানায়েকেও।

নতুন মিশনে বাংলাদেশের পেস লাইনকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই শ্রীলঙ্কান, ‘তৃণমূল থেকে প্রতিভা বাছাই করে জাতীয় দলের পাইপ লাইনে যোগান দেওয়াই হবে আমার কাজ। তবে আগের চেয়ে এখন কাজটা অনেক কঠিন। নতুন অনেক ছেলে রয়েছে। পুরো দেশ থেকে তাদের প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে। আমি সেই সব প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে বের করার অপেক্ষায় আছি।’

প্রতিভা অন্বেষণ প্রোগ্রামে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করলেও আপাতত রামানায়েকের কাজ হাই পারফরম্যান্স ইউনিট নিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আপতত হাই পারফরম্যান্সের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করব। জাতীয় দলে ব্যাকআপ খেলোয়াড়ের ঘাটতি যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখব। শেষবার আমি একাডেমির খেলোয়াড়দের নিয়ে কিছু সময় কাজ করেছিলাম, যা জাতীয় দলের জন্য সহায়ক হয়েছিল।’

রুবেল হোসেন তার পুরনো শিষ্য। তাকে নিয়ে রামানায়েকে বলেছেন, ‘রুবেলের বল ছাড়ার স্টাইল আড়াআড়ি নয়, তারপরও লোকে তাকে মালিঙ্গার সঙ্গে তুলনা করে। তবে তার অ্যাকশন ভিন্ন। এটার পরিবর্তন জরুরি নয়। তাকে আমি শ্রীলঙ্কাতে দেখিছি, সে এখন অনেক অভিজ্ঞ।’

রামানায়েকে কোচিং স্টাফ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগেই পেস বোলিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। দুই কোচের ব্যক্তিত্বের সংঘাত হবে কিনা, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন স্বয়ং বিসিবির কর্তাব্যক্তিরাও। রামানায়েকে অবশ্য ওয়ালশের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন, ‘তিনি অসাধারণ। আমার সময়কার খেলোয়াড়, মানুষ হিসেবেও তিনি দারুণ। তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।’

/আরআই/কেআর/